‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিন’ বিশ্বজুড়েই বেশ জনপ্রিয়। পাঠক-সংখ্যা ৬০ লক্ষেরও বেশি। এই জনপ্রিয় বিজ্ঞান পত্রিকা তাদের ১৭৯ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও প্রার্থীকে সমর্থন করল। এর আগে ২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জো বাইডেনকে সমর্থন করেছিল তারা
এ বার তাদের বক্তব্য, ‘বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের পাশে দাঁড়াতে হলে কমলা হ্যারিসকে ভোট দিন।’ ম্যাগাজিনের সম্পাদকদের মতে, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি, ক্লিন এনার্জির কথা হ্যারিস যে ভাবে বলেছেন, তাতে স্পষ্ট— জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যাকে ‘ইমার্জেন্সি’ হিসেবেই দেখছেন তিনি। সেই সঙ্গে নারীদের মাতৃত্বের অধিকার, গর্ভপাত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা নিয়ে হ্যারিসের অবস্থানও প্রশংসিত হয়েছে
অন্য দিকে, ম্যাগাজিনের সম্পাদকরা ট্রাম্পের আগের প্রেসিডেন্সিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। প্রযুক্তি, জনস্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, গর্ভপাতের অধিকার, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ট্রাম্প এবং হ্যারিসের অবস্থানের রীতিমতো তুল্যমূল্য তুলনা করেছে এই ম্যাগাজিন। ট্রাম্প যেখানে স্বাস্থ্যে সরকারি বিমা কমিয়েছেন, হ্যারিস সেখানে হেলথ ইনসিওরেন্স বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। ট্রাম্প গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেয়ার পক্ষে, হ্যারিস ঠিক উল্টো।
ট্রাম্প মনে করেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ একটা ভ্রান্ত ধারণা মাত্র, তাই তার সরকার একাধিক পরিবেশ বান্ধব নীতি বাতিল করেছিল। অন্যদিকে হ্যারিস জানিয়েছেন, কল-কারখানার কার্বন নির্গমন কমানো, ক্লিন এনার্জির উপর কর-ছাড়ের মতো বাইডেনের পরিবেশ-বান্ধব নীতিগুলো বহাল রাখবেন তিনি।
কিন্তু হ্যারিসের প্রতি সায়েন্স ম্যাগাজিনের এমন সমর্থন বার্তাকে অনেকেই ভালো ভাবে নিচ্ছেন না। মেডিক্যাল লেখিকা লিজ হাইলেম্যানের বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বিজ্ঞানের ফান্ডিং-কে প্রভাবিত করে ঠিকই, কিন্তু বিজ্ঞান এ ভাবে কোনও রাজনৈতিক পক্ষ নিয়ে নিলে খুব মুশকিল।’
‘আটলান্টিক’-এর রাইটার ডেরেক থম্পসনের আবার পর্যবেক্ষণ, এর আগে সায়েন্স ম্যাগাজিন যখন জো বাইডেনকে সমর্থন করেছিল, ট্রাম্প-সমর্থকদের বিজ্ঞানীদের উপর ভরসা আরও কমে গিয়েছিল, তাই এ ভাবে পক্ষ নেয়া কাম্য নয়।