রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ফার্মের ডিম সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এখনো বাড়তি দামেই এসব নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার পরও খুচরায় ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১০ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকায় উঠেছে। তবে রাজধানীর কয়েকটি বাজারে এখনো ফার্মের ডিম ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন ডিমের দর সরকার বেঁধে দিয়েছে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দর ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা। সোনালি মুরগির দাম খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।
ভোক্তারা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও বিভিন্ন সময় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারায় ভোক্তারা সেই সুফল পায়নি। তাই বেঁধে দেওয়া দর বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাজার তদারকিতে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজারে মেসার্স জিহাদ ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী মো. বায়োজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারিতে না কমলে খুচরায় প্রভাব পড়বে না।’জোয়ারসাহারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকার দাম কমাতে বেঁধে দিয়েছে, কিন্তু বাজারে উল্টো ডিমের দাম বেড়ে গেছে। দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমে ১০ টাকা বেড়েছে। এখন বিক্রি করা হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা এত দিন ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়।’
গত রবিবার বাজার নিয়ন্ত্রণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মুরগি ও ডিমের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়।
এতে ডিম উৎপদক পর্যায়ে প্রতি পিস ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সোনালি মুরগি উৎপদক পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি উৎপদক পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সরকার দর নির্ধারণ করে দেওয়ার তিন দিনেও বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। ফলে ভোক্তারা এই তিন পণ্যের দর বেঁধে দেওয়ার সুফল পাচ্ছে না।