অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ করতে পারলে সরকারি পাটকলগুলো লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসবে বলে মনে করেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
বিকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রয়াত্ব পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ খুলনা ও যশোর অঞ্চলের শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দেশে বর্তমানে সরকারি পাটকল আছে ২৬টি। এগুলোর পুঞ্জীভূত লোকসান বাড়তে বাড়তে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে। প্রতি বছর বাড়তে থাকা লোকসান সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বিরাট চাপ তৈরি করছে। লোকসানের কারণে অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের পেনশন ও গ্র্যাচুইটির টাকা পরিশোধও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বকেয়া পরিশোধ ও পাটখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিতে নানা সময় শ্রমিকরা আন্দোলনও করেছে।
প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, পাটকলের পুরনো মেশিনের কারণে উৎপাদনক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এসব যন্ত্রপাতি বদলে নিয়ে আধুনিক মেশিন সংযোজনে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সরকার পাটকলের আধুনিকায়নে যেমন আন্তরিক, তেমনি শ্রমিক, কর্মচারীদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করতে পারলে পাটকলগুলো দ্রুতই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সরকার যেমন শমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন তেমনি শ্রমিকদের ও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনও আরো যত্নশীল হতে হবে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়ন হওয়ায় পাটের বস্তার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা পাটকলের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেএমসি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মিলের শ্রমিকরা সবাই পাট পরিবারের সদস্য। সবাই মিলে সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহার উৎসাহিত এবং জনপ্রিয় করতে পারলে পাট চাষিদের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’
সভায় সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার, বিজেএমসি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।