ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে সারের সঙ্কট হবে না: কৃষি উপদেষ্টা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২০ বার

কৃষি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সারের মজুদ রয়েছে, কোনো সঙ্কট হবে না। কৃষকরা চাহিদামাফিক সার ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, বন্যার্তদের পুনর্বাসনে গৃহীত পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) কার্যক্রম সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সার আমদানির প্রক্রিয়া স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা। ভবিষ্যতে সঙ্কট হতে পারে, এ শঙ্কায় অতিরিক্ত সার ক্রয় বা মজুদ না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।

উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট থেকে আকস্মিক বন্যায় দেশের ২৩টি জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জেলাগুলোতে মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর। ফসল উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ ৭ লাখ ১৪ হাজার ৫১৪ মেট্রিক টন, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন। বন্যায় আক্রান্ত ২৩টি জেলার মোট আবাদকৃত ফসলের ১৪.৫৮ ভাগ নষ্ট হয়েছে।

বন্যায় অধিক আক্রান্ত ৭টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ: ফেনী ৩৫,৬৭৩ হেক্টর (৮০%), নোয়াখালী ৩৮,৪৫৬ হেক্টর (৩৭%), কুমিল্লা ৪৯,৬০৮ হেক্টর (৩৬%), লক্ষ্মীপুর ১৫,৬২৬ হেক্টর (৩৩%), চট্টগ্রাম ২৩,৯৯২ হেক্টর (১৬%), মৌলভীবাজার ১৫,২২২ হেক্টর (১২%) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৮.৩২৬ হেক্টর (৩৫%)।

বন্যায় জেলাগুলোর রোপা আমন ১ লাখ ৪১ হাজার ৬০৯ হেক্টর, আউশ ৩৮ হাজার ৬৮৯ হেক্টর, বোনা আমন ৭৬৪ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১৪ হাজার ৯০৮ হেক্টর এবং ১১ লাখ ২৯০ হেক্টর জমির শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আদা, হলুদ, আখ, পান, মরিচ, তরমুজ, পেঁপে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, টমেটো ইত্যাদি ফসল এবং ফলবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যা মোকাবিলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বন্যাত্তোর পরিস্থিতিতে রোপণের জন্য আমন ধানের বীজ বিতরণ ও বীজতলা প্রস্তুত করা, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান এবং কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক কার্যক্রম সমন্বয় ও মনিটরিং করা হচ্ছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে পুনর্বাসন কর্মসূচি বাবদ ৯টি জেলায় (কুমিল্লা, চাঁদপুর, বি- বাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি) রোপা আমন চাষের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমন ধানের ৪০০ মেট্রিক টন বীজ কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। উপকারভোগী কৃষক পরিবারকে ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং নগদ ১ হাজার টাকা (মোবাইল/অনলাইন ব্যাংকিং) দেওয়া হচ্ছে। এতে ১০ লাখ ৬৬৭ হেক্টর জমি রোপা আমন চাষের আওতায় আসবে এবং উপকারভোগী কৃষকের সংখ্যা হবে ৮০ হাজার জন।

বন্যাকবলিত জেলাকে গুরুত্ব দিয়ে ৬৪ জেলায় ১২টি ফসলে (গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, পেঁয়াজ, মুগ, মসুর, খেসারি, ফেলন ও অড়হড়) রবি মৌসুমে প্রণোদনা/পুনর্বাসনের জন্য ১৬৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। এতে ১৬ লাখ ৪১ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন। পরবর্তীতে শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনে জন্য দেড় লাখ কৃষককে ২২ কোটি ৮৪ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়ার জন্য ছাড় করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বিভিন্ন খামারে ২২.৫ একর জমিতে চারা উৎপাদনের জন্য ৪ হাজার ৫০০ কেজি আমন ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। উৎপন্ন চারা দিয়ে ৪৫০ একর (১ হাজার ৩৫০ বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদ করা সম্ভব হবে

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেনী, নোয়াখালী ও খাগড়াছড়ি জেলায় ২ হাজার ৫০০ কৃষক পরিবারের কাছে রোপা আমন ধানের চারা পৌঁছাবে, যা দিয়ে ২ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করা হবে। এর মধ্যে বিএডিসি কর্তৃক সরবরাহকৃত বীজে ১ হাজার ৩২৫ বিঘা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরবরাহকৃত বীজে ৩৭৫ বিঘা, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) সরবরাহ করা বীজে ৪৫০ বিঘা এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সরবরাহ করা বীজে ৩৫০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হবে। বিএডিসি’র মধুপুর খামারের ১.৫০ একর উঁচু জমিতে আমন ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। তা দিয়ে ফেনী জেলার মহিপালে অবস্থিত খামারের ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ একর (৭৫ বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কুমিল্লা সেনানিবাসে ২.৫০ একর (৭.৫ বিঘা) জমিতে চারা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলার কৃষক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১ হাজার ২০০ কেজি বীজের চারা ২৪০টি কৃষক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করবে বলে আশ্বাস পাওয়া গেছে। বেসরকারি সংস্থা সিনজেন্টা ১৫ মেট্রিক টন বীজ ৫ কেজি হারে ৩ হাজার কৃষক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশে সারের সঙ্কট হবে না: কৃষি উপদেষ্টা

আপডেট টাইম : ০৪:০৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কৃষি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সারের মজুদ রয়েছে, কোনো সঙ্কট হবে না। কৃষকরা চাহিদামাফিক সার ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, বন্যার্তদের পুনর্বাসনে গৃহীত পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) কার্যক্রম সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সার আমদানির প্রক্রিয়া স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা। ভবিষ্যতে সঙ্কট হতে পারে, এ শঙ্কায় অতিরিক্ত সার ক্রয় বা মজুদ না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।

উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট থেকে আকস্মিক বন্যায় দেশের ২৩টি জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জেলাগুলোতে মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর। ফসল উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ ৭ লাখ ১৪ হাজার ৫১৪ মেট্রিক টন, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন। বন্যায় আক্রান্ত ২৩টি জেলার মোট আবাদকৃত ফসলের ১৪.৫৮ ভাগ নষ্ট হয়েছে।

বন্যায় অধিক আক্রান্ত ৭টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ: ফেনী ৩৫,৬৭৩ হেক্টর (৮০%), নোয়াখালী ৩৮,৪৫৬ হেক্টর (৩৭%), কুমিল্লা ৪৯,৬০৮ হেক্টর (৩৬%), লক্ষ্মীপুর ১৫,৬২৬ হেক্টর (৩৩%), চট্টগ্রাম ২৩,৯৯২ হেক্টর (১৬%), মৌলভীবাজার ১৫,২২২ হেক্টর (১২%) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৮.৩২৬ হেক্টর (৩৫%)।

বন্যায় জেলাগুলোর রোপা আমন ১ লাখ ৪১ হাজার ৬০৯ হেক্টর, আউশ ৩৮ হাজার ৬৮৯ হেক্টর, বোনা আমন ৭৬৪ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১৪ হাজার ৯০৮ হেক্টর এবং ১১ লাখ ২৯০ হেক্টর জমির শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আদা, হলুদ, আখ, পান, মরিচ, তরমুজ, পেঁপে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, টমেটো ইত্যাদি ফসল এবং ফলবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যা মোকাবিলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বন্যাত্তোর পরিস্থিতিতে রোপণের জন্য আমন ধানের বীজ বিতরণ ও বীজতলা প্রস্তুত করা, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান এবং কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক কার্যক্রম সমন্বয় ও মনিটরিং করা হচ্ছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে পুনর্বাসন কর্মসূচি বাবদ ৯টি জেলায় (কুমিল্লা, চাঁদপুর, বি- বাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি) রোপা আমন চাষের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমন ধানের ৪০০ মেট্রিক টন বীজ কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। উপকারভোগী কৃষক পরিবারকে ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং নগদ ১ হাজার টাকা (মোবাইল/অনলাইন ব্যাংকিং) দেওয়া হচ্ছে। এতে ১০ লাখ ৬৬৭ হেক্টর জমি রোপা আমন চাষের আওতায় আসবে এবং উপকারভোগী কৃষকের সংখ্যা হবে ৮০ হাজার জন।

বন্যাকবলিত জেলাকে গুরুত্ব দিয়ে ৬৪ জেলায় ১২টি ফসলে (গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, পেঁয়াজ, মুগ, মসুর, খেসারি, ফেলন ও অড়হড়) রবি মৌসুমে প্রণোদনা/পুনর্বাসনের জন্য ১৬৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। এতে ১৬ লাখ ৪১ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন। পরবর্তীতে শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনে জন্য দেড় লাখ কৃষককে ২২ কোটি ৮৪ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়ার জন্য ছাড় করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বিভিন্ন খামারে ২২.৫ একর জমিতে চারা উৎপাদনের জন্য ৪ হাজার ৫০০ কেজি আমন ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। উৎপন্ন চারা দিয়ে ৪৫০ একর (১ হাজার ৩৫০ বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদ করা সম্ভব হবে

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেনী, নোয়াখালী ও খাগড়াছড়ি জেলায় ২ হাজার ৫০০ কৃষক পরিবারের কাছে রোপা আমন ধানের চারা পৌঁছাবে, যা দিয়ে ২ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করা হবে। এর মধ্যে বিএডিসি কর্তৃক সরবরাহকৃত বীজে ১ হাজার ৩২৫ বিঘা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরবরাহকৃত বীজে ৩৭৫ বিঘা, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) সরবরাহ করা বীজে ৪৫০ বিঘা এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সরবরাহ করা বীজে ৩৫০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হবে। বিএডিসি’র মধুপুর খামারের ১.৫০ একর উঁচু জমিতে আমন ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। তা দিয়ে ফেনী জেলার মহিপালে অবস্থিত খামারের ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ একর (৭৫ বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কুমিল্লা সেনানিবাসে ২.৫০ একর (৭.৫ বিঘা) জমিতে চারা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলার কৃষক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১ হাজার ২০০ কেজি বীজের চারা ২৪০টি কৃষক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করবে বলে আশ্বাস পাওয়া গেছে। বেসরকারি সংস্থা সিনজেন্টা ১৫ মেট্রিক টন বীজ ৫ কেজি হারে ৩ হাজার কৃষক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।