অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মাথায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নায়ক শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববার এই মতবিনিময়ে ড. ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। বলেছেন, ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকতে হবে। গত এক মাসে যারা অপকাণ্ড করেছে; সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিল তারা চুপচাপ বসে থাকবে না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। এটা কোনো রাষ্ট্র আর থাকবে না। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। মতবিনিময়ে ছাত্রনেতারা বলেন, আমরা দলবাজ ছাত্র-শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না। আমলা, পুলিশের বড় কর্তাসহ বিভিন্ন সেক্টরে বর্তমানে কর্মরত ফ্যাসিবাদীর দোসরদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত শস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে কুচক্রীমহল এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ছাত্র-জনতার ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা করবে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রাষ্ট্রনায়কোচিত উচ্চারণ। বিপর্যয় করা অর্থনীতি এবং ঋণগ্রস্ত দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই ভারত একের পর এক পাল্টা বিপ্লবের অপচেষ্টা করছে। প্রতিবেশী হিন্দুত্ববাদী দেশটি একদিকে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে; অন্যদিকে তাদের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতাকে চোখ-কান খোলা রেখে সজাগ থাকতে হবে এবং দেশ পুনর্গঠন করতে হবে।
ভারতের নাচের পুতুল শেখ হাসিনা ১৫ বছর জুলুম-নির্যাতন-হামলা-মামলা এবং পাতানো নির্বাচনের নামে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে হিন্দুত্ববাদীদের চারণভূমিকে পরিণত করেছিল। লাগামহীন দুর্নীতি, লুটপাটের সুযোগ করে দিয়ে এমনকি বস্তায় বস্তায় টাকা বিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের ওপর লেলিয়ে দিয়েছিল। কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় আইনশঙ্খলা বাহিনী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশকে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করে রাজপথ রক্তাক্ত করেছে। রাজপথে হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারী রক্তপিপাসু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিদেশে পালাতে বাধ্য করেছে। দেশের পতিত আওয়ামী লীগের বাইরে দেশের সব রাজনৈতক দল, আমজনতা দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করায় শিক্ষার্থীরা ১৭ কোটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হয়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা হচ্ছেন ১৭ কোটি মানুষের আগামীর স্বপ্ন। ছাত্রনেতারা ডাক দিলেই সর্বস্তরের মানুষ এখনই রাস্তায় নেমে আসবেন। কিন্তু তারা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের মতো রাজনৈতিক দল গঠন করেন তাহলে তারা একটি পক্ষভুক্তি হয়ে যাবেন। তখন আমজনতার কাছে এখনকার মতো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা এখন যেমন সারাদেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের ‘নেতা’ হয়ে উঠেছেন। রাজনৈতিক দল গঠন করলে সেই গ্রহণযোগ্যতা আর থাকবে না। তাছাড়া আগামীতে দেশ গঠনের জন্য তাদের লেখাপাড়া শেষ করতে হবে। সুদূরপ্রসারী এসব চিন্তা মাথায় রেখেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী বার্তা দিয়েছেন।
যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরাজিত শক্তি এতদিন চুপচাপ শুয়ে-বসে স্বপ্নের মধ্যে ছিল। আর অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশৃঙ্খলায় ফেলতে আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিল। তারা কি চুপচাপ বসে থাকবে? তারা খুব চেষ্টা করবে আবার তোমাদের দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য। যাতে তারা শান্তিতে আবার তাদের রাজত্ব চালাতে পারে। তারা চেষ্টার ত্রুটি করবে না।
ছাত্রদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, কাজেই যে কাজ শুরু করেছ, এই কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেও না। তাহলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের জন্ম থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ এমন সুযোগ আর আসেনি মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে ৫৩ বছর এই সুযোগ আর আসেনি। এই সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ। এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। এটা আর কোনো রাষ্ট্র থাকবে না। কাজেই এটা যেন শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হয় সে ব্যাপারে তোমাদের সজাগ দৃষ্টি রেখে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশকে বিশ্বে অনন্য রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু তরুণরা এটার (বাংলাদেশের) হাল ধরেছে, এ কারণেই এটা অনন্য। অনন্য একটা দেশ আমরা তৈরি করতে চাই। দুনিয়ার মানুষ এসে এটা দেখে যাবে। তোমাদের কাছে শিখতে আসবে, তোমাদের নিয়ে যাবে। বলবে কি মন্ত্র দিয়ে তোমরা এটা করেছ।
বৈষম্য-অবিচার-লুটপাটের বিরুদ্ধে তরুণদের সংস্কারের চেতনা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই মন্ত্র হয়তো তোমরাও টের পাচ্ছ না। মন্ত্রটা কীভাবে এলো। এটা একটা বিরাট মন্ত্রের মতো কাজ করেছে। এই মন্ত্রকে ধরে রাখবে। এই মন্ত্র যদি শিথিল হয়ে যায়, আমাদের কাজ শেষ করতে পারব না। সেই দুঃখ যেন আমাদের দেখতে না হয়।
প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে কখনো অন্তর্র্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার স্বপ্ন থেকে দূরে সরে গেলে স্মরণ করিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তোমরা নিজ নিজ চিন্তায় অনড় থাকো। যে যত পরামর্শ দিক এটা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবে। রাজনৈতিক দল গঠনের পরামর্শ তোমরা গ্রহণ করো না। তোমাদের চিন্তা স্বচ্ছ, তোমাদের চিন্তা সঠিক। (কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের নির্মোহ দেশপ্রেম সহ্য করতে না পেরে তাদের রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য কুপরামর্শ দিচ্ছে)। সে বিষয়ে সতর্ক করে দেখা হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে যদি আমরা এই স্বপ্ন থেকে দূরে সরার কোনো কাজ করি। আমাদের কারো কোনো ইচ্ছে নাই এই স্বপ্নের বাইরে যাওয়ার। স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হবে সার্বক্ষণিক কাজ। তবে কোনো কারণে যদি আমরা সীমা অতিক্রম করি কোথাও, আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিও।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতার কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা আজকে এখানে বসে যারা কথা বলছি তাদের একমাত্র দায়িত্ব, তাদের (শহীদ) ঋণ শোধ করা। এই জীবনের বিনিময়ে তারা আজকে এখানে বসার সুযোগ দিয়েছে। তারা জীবন দিয়ে না গেলে আমরা আজকে এখানে বসতে পারতাম না সবাই। আমরা যারা সরকারে এসেছি, তোমরা যারা শিক্ষার্থী কথা শুনতে এসেছ, কেউ এখানে আসতে পারতাম না।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের কষ্টের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, যখন হাসপাতালে যাই তাদের দেখার জন্য, তাকাতে কষ্ট হয়। এই যে হাসপাতালে গিয়ে ছেলেগুলোর সঙ্গে সাক্ষাতে গিয়ে যে দৃশ্য দেখলাম, সেটাতো সবাই দেখছে না। যারা হাসপাতালে আসছেন তারা দেখছেন। মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে এর পেছনে কী ছিল। তিনি বলেন, আহতদের যতবার দেখি ততবার মনে প্রশ্ন জাগে, কী বাংলাদেশ আমরা বানিয়েছি যে এতগুলো তাজা প্রাণ তাদের পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো। আমরা যারা আজকে এখানে বসে কথা বলছি, তাদের একমাত্র দায়িত্ব তাদের এই ত্যাগ, এই জীবনের মূল্যের স্বপ্ন পূরণ করা।
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাওয়ার কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, গত শনিবার একটা হাসপাতালে গেলাম আবার সেই দৃশ্য কচি কচি প্রাণ, মাথার খুলি উড়ে গেছে। মাথার অর্ধেক নাই, গুলি মাথার ভেতর রয়ে গেছে। রংপুরের হাসপাতালের দৃশ্য, এক্স-রে তে দেখা যাচ্ছে ওখানে দাগ ছোট ছোট ফুটো করা, আমি বুঝতে পারলাম না আমাকে কী দেখাচ্ছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম। এগুলো কী? এতগুলো গুলি তার শরীরে রয়ে গেছে, সে বেঁচে আছে রাবার বুলেট, যতবার দেখি যতবার শুনি আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয় যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে যাবার উপায় নেই। তিনি বলেন, আমাদের যোগ্যতা না থাকতে পারে, ক্ষমতা না থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের প্রতিজ্ঞা রইলো, আমরা স্বপ্ন পূরণ করব। হাসপাতালের দৃশ্য এবং আন্দোলনের প্রতিদিনের ঘটনা মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে এর পেছনে কী ছিল।
মতবিনিময়ে শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং বিভিন্ন দাবি জানান। রাজনীতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে, ক্লাসে একজন শিক্ষক শুধু শিক্ষক থাকবেন, একজন ছাত্র শুধু ছাত্র থাকবেন। কোনো ট্যাগধারী ছাত্র এবং শিক্ষককে আমরা ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না।
যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষায় গিয়েছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং দেশে তাদের মেধার মূল্যায়ন করে দেশের কাজে লাগাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, গ্র্যাজুয়েশনের পর বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরছেন না বলে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং বাড়ছে না। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব তৈরি হচ্ছে না।
এসময় একজন শিক্ষার্থী টাকা পাচারের চেয়ে মেধা পাচার বেশি ভয়ানক বলে মন্তব্য করেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে যারা বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিবাদীর দোসররা বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে যারা আছেন তাদের আমরা আর দেখতে চাই না। অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণকে এ মুহূর্তে একটি প্রধান কাজ হিসেবে বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণ করা এ মুহূর্তে প্রধান কাজের একটি। মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এটা যদি সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়, কোনো কুচক্রীমহল এই দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে আমাদের ভেতরে প্রবেশ করে আমাদের ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা করবে।
সরকারি হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক ও এক নারী মেডিক্যাল শিক্ষার্থী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে রোগীদের যেন হেনস্তা না হতে হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমরা চাই চিকিৎসা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হোক। যেখানে শুধু চিকিৎসক নন, রোগীদেরও সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, সিভিল সার্ভিস, জুডিশিয়ারি সার্ভিসের মতো সব মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিসের অধীনে আনা গেলে অনেক স্বচ্ছতা ও সেবার মান বাড়বে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানো এবং বিপণন ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। সার-কীটনাশক, কৃষি সরঞ্জামে ভর্তুকি এবং দাম কমাতে হবে। আগামীতে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে বলেন তারা।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।