রফিকুল ইসলামঃ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-শিক্ষক-জনতার বিজয় মিছিল ও আনন্দোল্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া একই ব্যানারে ভারতের সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডম্বুরা, গজলডুবা ও ফারাক্কা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে মিঠামইন সদরের শান্তিপুর থেকে শুরু হয়ে বিজয় মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশটি মিঠামইন বাজার ও এর আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি মহাবিদ্যালয়, তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ধলাই-বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আপামর জনতা ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সমবেত হয়।
দূরদূরান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী জনতা কপালে লাল-সবুজের পট্টি বেঁধে নৌকা দিয়ে সমাবেশ স্থলে পৌঁছান।
এ বিজয় মিছিলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে রাজপথ ও জনপদ। তাদের কারও হাতে পতাকা, কারও হাতে লাঠি দেখা গেছে। কাউকে আবার ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে বিজয়োল্লাস করতে দেখা যায়। মিছিলকারীরা ফাঁসিসহ শেখ হাসিনা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
পরে বিজয় মিছিলকারীরা মিঠামইন বাজারের বালুর মাঠে এক সভায় মিলিত হয়।
ছাত্র সমন্বয়ক মো. আজিম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।
ছাত্র সমন্বয়ক তারিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম, শেখ ওয়াশিউর রহমান প্রিন্স, মোশাররফ আহাম্মেদ, আবদুর রহিম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন শিক্ষক জোনায়েদুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মিঠা মামুন, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ সাফিউর রহমান সাফির, সুশীল সমাজের আবদুল কাদির পাতা মিয়া, যুবদলের আহ্বায়ক নওশাদ মিয়া।
আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী মো. নূর আলম, রুবেল হোসাইন, ফয়সাল আহমেদ টুটুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আজ আমরা মিঠামইনবাসী আবার স্বাধীনতার নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকেই একাত্তর দেখেনি, চব্বিশ দেখেছে।
বক্তারা আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনে সাধারণ মানুষ দেড় দশকের নির্যাতন-নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। এক ফ্যাসিবাদ সরকারকে উৎখাত করে নতুনভাবে ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতায় বসাতে চাই না। এখন হাতে হাত রেখে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার প্রত্যয় তাদের।