বন্যা কমতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে শুক্রবার থেকে গরম বেড়েছে। দেশের বেশির ভাগ জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক দিনে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। আজও গরম থাকতে পারে; আর বৃষ্টি আরও ঝেঁপে নামতে দুই–তিন দিন সময় লাগতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটা বলা হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের উজানে ও দেশের ভেতরে আগামী দু–এক দিন বৃষ্টি চলবে। তবে তা খুব বেশি পরিমাণে হবে না। তবে সোমবার থেকে বৃষ্টি আবারও বাড়তে পারে। টানা কয়েক দিন ওই বৃষ্টি চলতে পারে। তবে এতে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা নেই। কারণ দেশের সব নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে চলে গেছে। তা আপাতত বেড়ে বন্যার আশঙ্কা নেই।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি চলতে পারে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে এই সময়ে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বেশি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি কমে গেছে। তবে আগামী সোমবারের মধ্যে মৌসুমি বায়ু আবারও শক্তি অর্জন করতে পারে। এতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে, যা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শনিবার দেশের বেশির ভাগ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকাল শুক্রবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের সব নদ–নদীর ১১৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১৬টিতে পানি বেড়েছে। বাকিগুলোতে কমছে। সব কটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।