জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়ার কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে দলগুলোর নেতারা এ কথা জানান।
সোমবার বিকাল ৪টা থেকে রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এসব বৈঠক হয়। সেখানে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিলের বিষয়ে দলগুলোর মতামতও নেওয়া হয়েছে। সব দলই শোক দিবস বাতিলের পক্ষে মত দেন বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে দলগুলোর পক্ষ থেকে শোক দিবস বাতিলের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আবার সরকারের সংশ্লিষ্ট কেউ এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার দিনটিকে বহু বছর ধরে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ।
বৈঠক সূত্রগুলো জানায়, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও এদিন ছুটি বাতিল করার বিষয়টি মূল আলোচ্যসূচি ছিল। তবে প্রসঙ্গক্রমে বিএনপিসহ কয়েকটি দল তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্য দলগুলো জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কোনো আলোচনা হয়নি। তবে বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা যুগান্তরকে জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি।
বিএনপির বৈঠকের পর এনডিএম, জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, ফরিদা আখতার, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
নির্বাচনের পরিবেশের জন্য সরকারকে সময় দেবে বিএনপি : বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে নির্বাচন নিয়ে আমরা কথা বলিনি। আমরা আগেও বলেছি আপনারা জানেন যে, একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবে নির্বাচনের জন্য, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা তাদের সেই সময়টি অবশ্যই দিয়েছি। আমরা তাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের) সব বিষয়ে সমর্থন দিয়েছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা একটা কথা খুব পরিষ্কার করে বলেছি যে, বর্তমানে দেশে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তোলা হচ্ছে-এগুলোতে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয় এবং জনগণ ঠিক পূর্বের মতোই সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে অক্ষুণ্ন রেখে, তাদের নিরাপত্তাকে অক্ষণ্ন রেখে তারা যেন সরকারকে সহায়তা করে এবং আমরাও পুরোপুরিভাবে তাদের সেভাবে সহায়তা করছি।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই সরকারকে সহায়তা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের একমাত্র কর্তব্য। আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই মহলটি যারা বাংলাদেশের অধিকার হরণ করে নিয়েছিল, তারা আবার দেশ থেকে বিদেশ পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশের যে বিজয় অর্জন হয়েছে তা নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্ত শুরু করেছে।’
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে তথাকথিত সংখ্যালঘুর ওপরে নির্যাতনের যে একটা গল্প ফাদা হয়েছে, সেই গল্পটা পুরোপুরিভাবে উদ্দেশ্যমূলক, বাংলাদেশ ও সরকারকে হেয় করা, ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করে দেওয়ার আরেকটি চক্রান্ত।
প্রায় এক ঘণ্টার এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, এত হত্যা, এত নির্যাতন, এত নিপীড়ন, এতগুলো ছাত্রকে হত্যা করার পরও সেই দলটি (আওয়ামী লীগ) আবারও বিভিন্নরকমভাবে কথা বলছে, যা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি, সরকারের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সরকার অবশ্যই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু হত্যাকারীর সঙ্গে যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে, যারা শিশুদের হত্যা করেছে, যারা রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ আছে এবং এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে গেলে আমরা সরকারকে অবশ্যই সমর্থন দেব।’
এরপর সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে বৈঠকের বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জানান নেতারা। এই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির করণীয় কী তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিগত সরকারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি জামায়াতের : প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল বৈঠকে করে। বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলেন, ‘সারা দেশে সংঘটিত সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত সরকারের শাসনামলে দায়েরকৃত সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে তদস্থলে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। বিগত সরকারের শাসনামলের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং মন্ত্রী/এমপি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সব দুর্নীতিবাজের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
জামায়াত আমির আরও বলেন, দেশের এই কঠিন মুহূর্তে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ও সহায়-সম্পদে হামলা চালিয়ে কোনো কুচক্রী মহল যাতে পানি ঘোলাটে করতে না পারে, সেজন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে আসছে। যেহেতু বর্তমানে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করেছে, সেজন্য ভিন্নধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
গণতন্ত্রমঞ্চ ও অন্যান্য দল : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন এনডিএম প্রতিনিধি দল। এতে উপস্থিত ছিলেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মহাসচিব মোমিনুল আমিন এবং ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। সন্ধ্যা ৬টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ৪টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা যুক্তভাবে বৈঠক করেন। তারা হলেন আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান এবং গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান ও সদস্যসচিব মো. ফারুক হাসান।
সভা শেষে এবি পার্টির আহ্বায়ক সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, ১৫ আগস্ট শোক দিবস ইস্যুতে আমরা বলেছি যেহেতু একটা বিপ্লব হয়েছে, এই সরকার জনতার দাবির মুখে হয়েছে। সুতরাং একটা স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী, যারা দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের সব জিনিস আমরা মনে করি এই রাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে। এটিও বলেছি ড. ইউনূস বাংলাদেশের জন্য যদি অবিস্মরণীয় অবদানও রাখেন তাহলেও আমরা বলব যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করে কোনো দিবস বা কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা আমাদের এই রাষ্ট্র যাতে আর না করে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্র। সেখানে কোনো ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কোনো দিবস বা শোক পালন, কিংবা ছুটি ঘোষণা করার রীতি নেই। পশ্চিমা বিশ্বের কোথাও এটা নেই।
তিনি আরও বলেন, অনুরোধ করেছি দ্রুত সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য একটা বিচারবিভাগীয় তদন্ত করবেন। প্রয়োজনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সাবেক বিচারপতিকে দিয়ে হলেও একটা বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করবেন। বাংলাদেশের কোথায়, কার নেতৃত্বে কীভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে-এটা কি সত্য, নাকি গুজব, তা যেন নিরপেক্ষভাবে বের করা যায়।
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত সরকার ছিল ম্যান্ডেটবিহীন। সেই সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো স্বাভাবিকভাবেই গণবিরোধী। আমরা ১৫ আগস্ট শোক দিবসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যে ফ্যাসিস্ট সরকার নিয়েছে, সেগুলো রিভিউ করতে বলেছি। আজ যত রাজনৈতিক দল সভায় অংশ নিয়েছে, সবাই পরিষ্কারভাবে বলেছে, এই আগস্ট হচ্ছে জাতীয় বিপ্লবের মাস। আমরা এই আগস্ট বিপ্লব হিসাবে উদ্যাপন করতে চাই। এটা আমাদের শোকের নয়, এটা আমাদের শোকের ও শান্তির মাস। কাজেই ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে যে জাতীয় শোক দিবস স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত, সেটা বাতিল করতে হবে এবং ওইদিন সরকারি যে ছুটি ছিল, সেটাও বাতিল করে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে হবে।
পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বৈঠক করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
বৈঠক শেষে মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, এজেন্ডা একটাই ছিল-সামনে ১৫ আগস্ট, এটাকে আমরা কীভাবে দেখব। আমরা বলেছি, এটা একটা বিরাট রাজনেতিক প্রশ্ন, আরও আলোচনার হয়তো দরকার লাগতে পারে। কিন্তু পটভূমিটা এখন ভিন্ন। এখন সারা দেশের মানুষ শত শত লোকের শোকে। এই সময়ে এমন কিছুই করা উচিত হবে না, যাতে আরও উসকে দেয়। যেরকমভাবে গোটা দেশে যেন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি না করে, যেভাবে আমরা পরবর্তী ধাপে উত্তরণ করতে পারি, গণতন্ত্র ও সংস্কারের পথে সেই পথেই থাকার চেষ্টা করা দরকার।
পরে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থসহ দলটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র ও গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রথম রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের উদ্যোগ নেন।