ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া ‘খালেদা জিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের কী বোঝেন?’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৬
  • ২৯২ বার

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রস্তাবকে পাত্তা দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলছেন, খালেদা জিয়া নিজে ক্ষমতায় থাকাকালে এক মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে পারেননি। এ বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই তার। এখন তিনি বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছেন।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল চেয়ে বুধবার গুলশানের রাজনৈতিক কার‌্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন বিদ্যুৎ উৎপাদনে কিছু পরামর্শও দেন। আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় এগুলোরই সমালোচনা করেন বেশি।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশজুড়ে বিদ্যুৎসংকট ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি। বিদ্যুতের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতা হয়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় ১৮ জনের বেশি মানুষ।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয় অর্থাৎ বিএনপির ভরাডুবির অন্যতম কারণ হিসেবে এই বিদ্যুৎ সংকটকেই চিহ্নিত করেন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নানা প্রকল্প গ্রহণ করে। গত পাঁচ বছরে বিদ্যুতের ‍উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। প্রকৃত উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।

সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরমাণু, কয়লা, সৌর বিদ্যুৎসহ নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

এসব প্রকল্প নিয়ে আপত্তি না থাকলেও রামপাল নিয়ে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের আপত্তি রয়েছে। বিএনপির নেতারা নানা সময় এই প্রকল্প বাতিলের দাবি করলেও এত দিন খালেদা জিয়া এ নিয়ে তেমন কিছু বলেননি। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান।

সরকারকে বিকল্প বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সন্ধান করার পরামর্শ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ছোট গ্যাস জেনারেটর বিদ্যুৎকেন্দ্র, পানিবিদ্যুৎ, টাইডাল বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস প্রকল্প, সৌর বিদ্যুতের দিকে আমাদের মনোযোগী হওয়া দরকার।’

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওনার কথা যদি আমরা শুনি তাহলে তো আমাদের দেশ আগের মতো অন্ধকারেই থাকবে। উনি দুই দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। সবশেষ ২০০১ সালে আমরা যত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন রেখে গিয়েছিলাম আমরা, তিনি পাঁচ বছরে তার চেয়ে এক মেগাওয়াটও বাড়াতে পারেননি, উল্টো কমিয়েছেন।’

সরকারের হিসাবমতে, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। আর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে তা কমে দাঁড়ায় তিন হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট।

লেনিন বলেন, ‘এখন তিনি আমাদের যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন, সেগুলো তিনি নিজে ক্ষমতায় থাকাকালে কেন করেননি? আমাদের সরকার যেসব প্রকল্প নিচ্ছে সেগুলো জনগণের কল্যাণের জন্যই নিচ্ছে। যথাযথ প্রযুক্তিনির্ভর এসব প্রকল্প পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হবে না এটা নিশ্চিত করেই কাজ চলছে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানেন না, খোঁজ-খবরও রাখেন না। সরকার ইতিমধ্যে ২০২১ সাল নাগাদ তিন হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের উদ্যোগ আগেই নিয়েছে সরকার। এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’

স্বপন বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্য যে একটি বড় দলের চেয়ারপারসনের বক্তব্য তথ্যনির্ভর নয়। তাকে যিনি এই বক্তব্য লিখে দিয়েছেন তিনি হয়তো বিষয়গুলো জানেন না।’

স্বপন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বক্তব্যে তিনি সরকারে থাকতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কী করেছেন, সেটার একটা বর্ণনা থাকলে ভালো হতো। তার আমলে তো মানুষ বিদ্যুতের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করত, সেটা কি তিনি ভুলে গেছেন?’

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট করবে- খালেদা জিয়ার এমন আশঙ্কারও যুক্তিসংগত কারণ নেই বলে মনে করেন স্বপন। বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করেই এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। তা ছাড়া সরকার সুন্দরবনের ক্ষতি কেন করবে সেটার বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যাখ্যা থাকলে ভালো হতো ।’

দলটির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের কী বোঝেন। তিনি বুঝলে তার আমলে কিছু করতে পারেননি কেন?’ নাছিম বলেন, ‘যখন দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তিনি তো কোনো ফর্মুলা দেননি। তিনি আজ আমাদের যে ফর্মুলা দিচ্ছেন, নিজে ক্ষমতায় থাকতে কেন তা করেননি?’

খালেদা জিয়ার কিছু প্রস্তাব ব্যয়সাপেক্ষ জানিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য বলেন, ‘এতে কী পরিমাণ অর্থের দরকার, সেটা মনে হয় খালেদা জিয়া জানেন না। উন্নত বিশ্ব, যারা বহুদিন ধরে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারাও ধীরে ধীরে সবুজ জ্বালানিতে যাচ্ছে।’

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে নাছিম বলেন, ‘এখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সম্পর্কেও ওনার কোনো ধারণা নেই। আমাদের দেশে একটা সংস্কৃতি আছে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা। যারা বিরোধিতা করছেন, তারা গড়ার জন্য কিছু বলেন না, কেবল ধ্বংস করতে বলেন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া ‘খালেদা জিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের কী বোঝেন?’

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৬

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রস্তাবকে পাত্তা দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলছেন, খালেদা জিয়া নিজে ক্ষমতায় থাকাকালে এক মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে পারেননি। এ বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই তার। এখন তিনি বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছেন।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল চেয়ে বুধবার গুলশানের রাজনৈতিক কার‌্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন বিদ্যুৎ উৎপাদনে কিছু পরামর্শও দেন। আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় এগুলোরই সমালোচনা করেন বেশি।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশজুড়ে বিদ্যুৎসংকট ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি। বিদ্যুতের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতা হয়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় ১৮ জনের বেশি মানুষ।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয় অর্থাৎ বিএনপির ভরাডুবির অন্যতম কারণ হিসেবে এই বিদ্যুৎ সংকটকেই চিহ্নিত করেন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নানা প্রকল্প গ্রহণ করে। গত পাঁচ বছরে বিদ্যুতের ‍উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। প্রকৃত উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।

সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরমাণু, কয়লা, সৌর বিদ্যুৎসহ নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

এসব প্রকল্প নিয়ে আপত্তি না থাকলেও রামপাল নিয়ে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের আপত্তি রয়েছে। বিএনপির নেতারা নানা সময় এই প্রকল্প বাতিলের দাবি করলেও এত দিন খালেদা জিয়া এ নিয়ে তেমন কিছু বলেননি। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান।

সরকারকে বিকল্প বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সন্ধান করার পরামর্শ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ছোট গ্যাস জেনারেটর বিদ্যুৎকেন্দ্র, পানিবিদ্যুৎ, টাইডাল বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস প্রকল্প, সৌর বিদ্যুতের দিকে আমাদের মনোযোগী হওয়া দরকার।’

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওনার কথা যদি আমরা শুনি তাহলে তো আমাদের দেশ আগের মতো অন্ধকারেই থাকবে। উনি দুই দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। সবশেষ ২০০১ সালে আমরা যত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন রেখে গিয়েছিলাম আমরা, তিনি পাঁচ বছরে তার চেয়ে এক মেগাওয়াটও বাড়াতে পারেননি, উল্টো কমিয়েছেন।’

সরকারের হিসাবমতে, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। আর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে তা কমে দাঁড়ায় তিন হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট।

লেনিন বলেন, ‘এখন তিনি আমাদের যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন, সেগুলো তিনি নিজে ক্ষমতায় থাকাকালে কেন করেননি? আমাদের সরকার যেসব প্রকল্প নিচ্ছে সেগুলো জনগণের কল্যাণের জন্যই নিচ্ছে। যথাযথ প্রযুক্তিনির্ভর এসব প্রকল্প পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হবে না এটা নিশ্চিত করেই কাজ চলছে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানেন না, খোঁজ-খবরও রাখেন না। সরকার ইতিমধ্যে ২০২১ সাল নাগাদ তিন হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের উদ্যোগ আগেই নিয়েছে সরকার। এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’

স্বপন বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্য যে একটি বড় দলের চেয়ারপারসনের বক্তব্য তথ্যনির্ভর নয়। তাকে যিনি এই বক্তব্য লিখে দিয়েছেন তিনি হয়তো বিষয়গুলো জানেন না।’

স্বপন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বক্তব্যে তিনি সরকারে থাকতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কী করেছেন, সেটার একটা বর্ণনা থাকলে ভালো হতো। তার আমলে তো মানুষ বিদ্যুতের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করত, সেটা কি তিনি ভুলে গেছেন?’

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট করবে- খালেদা জিয়ার এমন আশঙ্কারও যুক্তিসংগত কারণ নেই বলে মনে করেন স্বপন। বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করেই এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। তা ছাড়া সরকার সুন্দরবনের ক্ষতি কেন করবে সেটার বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যাখ্যা থাকলে ভালো হতো ।’

দলটির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের কী বোঝেন। তিনি বুঝলে তার আমলে কিছু করতে পারেননি কেন?’ নাছিম বলেন, ‘যখন দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তিনি তো কোনো ফর্মুলা দেননি। তিনি আজ আমাদের যে ফর্মুলা দিচ্ছেন, নিজে ক্ষমতায় থাকতে কেন তা করেননি?’

খালেদা জিয়ার কিছু প্রস্তাব ব্যয়সাপেক্ষ জানিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য বলেন, ‘এতে কী পরিমাণ অর্থের দরকার, সেটা মনে হয় খালেদা জিয়া জানেন না। উন্নত বিশ্ব, যারা বহুদিন ধরে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারাও ধীরে ধীরে সবুজ জ্বালানিতে যাচ্ছে।’

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে নাছিম বলেন, ‘এখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সম্পর্কেও ওনার কোনো ধারণা নেই। আমাদের দেশে একটা সংস্কৃতি আছে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা। যারা বিরোধিতা করছেন, তারা গড়ার জন্য কিছু বলেন না, কেবল ধ্বংস করতে বলেন।’