কাতারের রাজধানীর উত্তরে অবস্থিত লুসাইল রয়াল কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াকে। এর আগে শুক্রবার (২ আগস্ট) দেশটির সবচেয়ে বড় মসজিদ দোহার ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
হানিয়ার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন হামাসের উচ্চপদস্থ নেতারা। যার মধ্যে ছিলেন খালিদ মিশালও।
মনে করা হচ্ছে, তিনিই হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দোহা বিমানবন্দরের টার্মাকে হানিয়াকে বহনকারী কফিন গ্রহণ করতে আসেন হামাস নেতারা।এদিকে হামাস নেতার সম্মানে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। জুমার নামাজের সময় হাজার হাজার মানুষ তুরস্কের ইস্তাম্বুলের হায়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদে হানিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের এ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে তার সফর বাতিল করা হয়।এর আগে বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকান হন ইসমাইল হানিয়া। আগের দিন তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে যান। অনুষ্ঠান শেষে তেহরানের একটি গেস্ট হাউসে অবস্থান করেন হানিয়া।
সেখানেই আগে থেকে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এক দেহরক্ষীসহ তিনি নিহত হন।বৃহস্পতিবার তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার প্রথম জানাজা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। জানাজা শেষে তার মরদেহ বহনকারী কফিন তেহরানের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইরান ইতিমধ্যে হুমকি দিয়েছে হানিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে সরাসরি ইসরায়েলে আঘাত হানবে তারা। এমন আশঙ্কা থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া বিশ্বের অনেক বিমান সংস্থা ইসরায়েলের তেল আবিবে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।সূত্র : আলজাজিরা