ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শেখ হাসিনাই শেষ শক্তি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০১৬
  • ২৯১ বার

খুজিস্তা নূর ই নাহারীন মুন্নী:

একজন শেখ হাসিনাই শেষ শক্তি।যারা তার কঠোর সমালোচক, তারাও মানবেন যে- বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের বুকে যে ঘোর অন্ধকার নেমেছিলো, তা থেকে দেশ আলোর পথে আসতো না যদি তিনি না আসতেন। গণতন্ত্রের বাতিঘর হয়ে তিনি এসেছিলেন বলেই, সামরিক শাসন কবল থেকে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। মুজিব কন্যা এসেছিলেন বলেই ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ডুবে যাওয়া সূর্য নতুন করে উদিত হয়েছিল। গণতন্ত্রের মানসকন্যা এসেছিলেন বলেই একটি জাতি নতুন করে জেগে ওঠেছিল।

কি নৃশংসভাবেই না ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকরা পরিবার পরিজনসহ হত্যা করেছিল! কতটা বর্বর হলে, আক্রোশে উন্মত্ত হলে, কী ভয়ংকর হিংস্র হলেইনা জাতির স্হপতিকে বুলেটে ঝাজরা করেই থামেনি ঘাতকের দল! বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবই নন, পুত্রদের সঙ্গে তাদের বধুদেরও হত্যা করেছিলো! যাদের হাতের মেহেদির রঙ তখনও মুছে যায়নি। এমনকি যে শিশু রাসেল বারবার প্রাণ ভিক্ষে চেয়ে বলেছিলো, আমাকে হাসুবুর কাছে পাঠিয়ে দাও, তাকেও বুলেটে শেষ করে দিয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুরর লাশ ধানমন্ডির বাড়িতে রেখে খুনীরা স্তব্ধ বাংলাদেশের বুকে উল্লাস করেছিলো অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে।

কেউ জাতির জনককে বাঁচাতে, খুনীদের রুখতে কার্যকর ভূমিকা নেয়নি। দায়িত্ব পালন করেননি। কাপুরুষতা দেখানো হয়েছে রাজনৈতিক ও সসামরিক নেতৃত্ব থেকে। আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফ যথার্থই বলেছেন, সেদিনও দল ছিলো, বিভিন্ন বাহিনী ছিলো, তবু শেষ রক্ষা হয়নি। তাই নেতাকর্মীদের সজাগ সতর্ক আর ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বুলেট শেখ হাসিনাকে তাড়া করছে। দুজনেই সত্য বলেছেন। ৭১ এর পরাজিত আন্তর্জাতিক ও জাতীয় শক্তিই ষড়যন্ত্র করে আগষ্ট হত্যাকান্ড ঘটিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের চাকাকে উল্টোপথে ঘুরিয়েছিলো! সামরিক শাসনের কবলে জনগন হারিয়েছিলো অধিকার। শোষন বৈষম্যের ধারায় মানুষ হয়েছিলো দারিদ্রতার মুখোমুখি। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, মাসের পর মাস বছরের পর বছর জেলে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।

৮১সালে স্বজন হারানোর কান্না বুকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরেই স্রোতের উজানে কি কঠিন সংগ্রাম-ই না শুরু করেছিলেন! বারবার জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করে তিনি দলকে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আনেন। আর বঙ্গবন্ধুর বিচারই করেননি, দেশকে উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের মডেলে পরিণত করেন গণতন্ত্রের পথে। তার আগে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।

আজ তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরই ফাঁসিই কার্যকর করেননি, কত পরাশক্তির চোখরাঙ্গানি উপেক্ষা করে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করে ফাঁসি কার্যকর করছেন। বিশ্বনন্দিত প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেশে উন্নয়নের বিপ্লব শুরু করেছেন।বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন রাজৈতিক মুক্তি, স্বাধীনতা, তার কন্যা শেখ হাসিনা দিচ্ছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বিএনপি জামায়াত সরকারের জমানায় তাকে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে দেয়া হয়নি!একুশে আগষ্ট ২০০৪ সালে তাকে প্রকাশ্য সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নেতাদের সহ উড়িয়ে দিতে কি গভীর যড়যন্ত্র ও বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। ২১বারেরও বেশি তাকে হত্যা,ক্ষমতা থেকে উৎখাত ও রাজনীতি থেকে ওয়ানইলেভেনে মাইনাস করার চেষ্টা হয়েছে। আল্লাহর রহমত, জনগনের ভালোবাসা আর অসীম সাহস ও নেতৃত্বের দূরদর্শীতায় তিনি সকল অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করেই নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন। দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন।বহুবার তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে, বহুবার তাকে জেলে নেয়া হয়েছে, ষড়যন্ত্রের তার সামনে ছড়িযে দেয়ে হয়েছে। কোনো বাঁধাই তাকে আটকাতে পারেনি। কোনো অশুভ শক্তিই তাকে রুখতে পারেনি। দেশ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে তিনি তার পিতার মতো আদর্শের প্রশ্নে মানুষের কল্যাণে আপসহীন। নিবেদিতপ্রাণ এক মহান রাজনৈতিক নেত্রী।

আজও চার দিকে নানা ষড়যন্ত্র। প্রতিবছর আগস্ট এলেই ভয়ে, গা ছমছম করে। বত্রিশ নম্বরে শোকদিবসের মিলাদে যাই, স্নরন সভায় প্রতি বছর যাই। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মুখের দিকে তাকাতে পারিনা। পরিবারের সবাইকে কি নির্মমতার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে অথচ তিনি দীর্ঘ সংগ্রামে গণরায় নিয়ে ক্ষমতায় এসে স্বাভাবিক বিচারপ্রক্রিয়ায়ই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন! কতটা সহনশীল হলে,কতটা উদার হলে এতটা রক্তের বেদনা বুকে নিয়ে,বছরের পর বছর যন্ত্রণা সয়ে,খুনীদের আস্ফালন উন্মাসিকতা ও দম্ভ সয়ে পথ হেটেছেন। খুনীরা তার সামনে সদম্ভে ঘুরেছে। শাসকের সেদিন আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল। কূটনৈতিক মিশনে চাকরিই দেওয়া হয়নি। প্রহসনের নির্বাচনে মহান সংসদেও আনা হয়েছিল। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। বাবার মতো শেখ হাসিনাও বিশ্বাস করেন, জনগণই ক্ষমতার শক্তি, আর জনগণের কল্যাণই রাজনীতি।

বঙ্গবন্ধু যৌবনে জেল জুলুম ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে জাতিকে গভীর ভালোবাসায় টেনে আস্হায় বিশ্বাস নিয়ে,স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।জীবন দিয়ে গেছেন পরিবার পরিজন সহ,দেশ ও মানুষের স্বার্থে আপোস করেননি। আজ তার কন্যা কত বাধা কত কাঁটা কত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করে সাহসীকতা ও প্রাজ্ঞতায় নেতৃত্বের দৃঢ়তায় মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিই নয় আধুনিক মালয়েশিয়ার মতোন, সিঙ্গাপুরের মতোন এগিয়ে নিচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় দেশ পিছিয়েছিলো।শেখ হাসিনা হাল ধরেছিলেন বলেই,বেঁচে আছেন বলেই কত বিশ্বমোড়লদের রক্তচক্ষু আমলে না নিয়ে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় নেবার লড়াই করছেন।উন্নয়ন কর্মযজ্ঞই এখন চারদিকে। সন্ত্রাসবাদ,জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স। একুশের সেই হামলায় আইভি রহমান সহ কত নেতাকর্মী মানুষ জীবন দিয়েছেন,কতজন পঙ্গু আহত।শেখ হাসিনা মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছিলেন বলেই ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশ হাটছে তার যোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে।দুনিয়ার নজর কেড়েছে।তাই শ্লোগান উঠেছে,শেখ হাসিনা যতদিন, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার কিছু হলেই ঘোর অন্ধকার অভিশাপ নামবে বাংলাদেশে। যে অন্ধকার থেকে আর কোনদিন বের হবেনা দেশ।তার বিকল্প তিনি নিজেই। তিনিই জাতির শেষ আশ্রয়।আজ সবার ভাববার সময়, সুসংগঠিত মানব প্রাচীর গড়ার সময়। আজ জাতীয় ঐক্যের সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপদ উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভুলে শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার

শেখ হাসিনাই শেষ শক্তি

আপডেট টাইম : ১২:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০১৬

খুজিস্তা নূর ই নাহারীন মুন্নী:

একজন শেখ হাসিনাই শেষ শক্তি।যারা তার কঠোর সমালোচক, তারাও মানবেন যে- বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের বুকে যে ঘোর অন্ধকার নেমেছিলো, তা থেকে দেশ আলোর পথে আসতো না যদি তিনি না আসতেন। গণতন্ত্রের বাতিঘর হয়ে তিনি এসেছিলেন বলেই, সামরিক শাসন কবল থেকে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। মুজিব কন্যা এসেছিলেন বলেই ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ডুবে যাওয়া সূর্য নতুন করে উদিত হয়েছিল। গণতন্ত্রের মানসকন্যা এসেছিলেন বলেই একটি জাতি নতুন করে জেগে ওঠেছিল।

কি নৃশংসভাবেই না ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকরা পরিবার পরিজনসহ হত্যা করেছিল! কতটা বর্বর হলে, আক্রোশে উন্মত্ত হলে, কী ভয়ংকর হিংস্র হলেইনা জাতির স্হপতিকে বুলেটে ঝাজরা করেই থামেনি ঘাতকের দল! বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবই নন, পুত্রদের সঙ্গে তাদের বধুদেরও হত্যা করেছিলো! যাদের হাতের মেহেদির রঙ তখনও মুছে যায়নি। এমনকি যে শিশু রাসেল বারবার প্রাণ ভিক্ষে চেয়ে বলেছিলো, আমাকে হাসুবুর কাছে পাঠিয়ে দাও, তাকেও বুলেটে শেষ করে দিয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুরর লাশ ধানমন্ডির বাড়িতে রেখে খুনীরা স্তব্ধ বাংলাদেশের বুকে উল্লাস করেছিলো অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে।

কেউ জাতির জনককে বাঁচাতে, খুনীদের রুখতে কার্যকর ভূমিকা নেয়নি। দায়িত্ব পালন করেননি। কাপুরুষতা দেখানো হয়েছে রাজনৈতিক ও সসামরিক নেতৃত্ব থেকে। আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফ যথার্থই বলেছেন, সেদিনও দল ছিলো, বিভিন্ন বাহিনী ছিলো, তবু শেষ রক্ষা হয়নি। তাই নেতাকর্মীদের সজাগ সতর্ক আর ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বুলেট শেখ হাসিনাকে তাড়া করছে। দুজনেই সত্য বলেছেন। ৭১ এর পরাজিত আন্তর্জাতিক ও জাতীয় শক্তিই ষড়যন্ত্র করে আগষ্ট হত্যাকান্ড ঘটিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের চাকাকে উল্টোপথে ঘুরিয়েছিলো! সামরিক শাসনের কবলে জনগন হারিয়েছিলো অধিকার। শোষন বৈষম্যের ধারায় মানুষ হয়েছিলো দারিদ্রতার মুখোমুখি। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, মাসের পর মাস বছরের পর বছর জেলে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।

৮১সালে স্বজন হারানোর কান্না বুকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরেই স্রোতের উজানে কি কঠিন সংগ্রাম-ই না শুরু করেছিলেন! বারবার জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করে তিনি দলকে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আনেন। আর বঙ্গবন্ধুর বিচারই করেননি, দেশকে উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের মডেলে পরিণত করেন গণতন্ত্রের পথে। তার আগে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।

আজ তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরই ফাঁসিই কার্যকর করেননি, কত পরাশক্তির চোখরাঙ্গানি উপেক্ষা করে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করে ফাঁসি কার্যকর করছেন। বিশ্বনন্দিত প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেশে উন্নয়নের বিপ্লব শুরু করেছেন।বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন রাজৈতিক মুক্তি, স্বাধীনতা, তার কন্যা শেখ হাসিনা দিচ্ছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বিএনপি জামায়াত সরকারের জমানায় তাকে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে দেয়া হয়নি!একুশে আগষ্ট ২০০৪ সালে তাকে প্রকাশ্য সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নেতাদের সহ উড়িয়ে দিতে কি গভীর যড়যন্ত্র ও বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। ২১বারেরও বেশি তাকে হত্যা,ক্ষমতা থেকে উৎখাত ও রাজনীতি থেকে ওয়ানইলেভেনে মাইনাস করার চেষ্টা হয়েছে। আল্লাহর রহমত, জনগনের ভালোবাসা আর অসীম সাহস ও নেতৃত্বের দূরদর্শীতায় তিনি সকল অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করেই নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন। দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন।বহুবার তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে, বহুবার তাকে জেলে নেয়া হয়েছে, ষড়যন্ত্রের তার সামনে ছড়িযে দেয়ে হয়েছে। কোনো বাঁধাই তাকে আটকাতে পারেনি। কোনো অশুভ শক্তিই তাকে রুখতে পারেনি। দেশ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে তিনি তার পিতার মতো আদর্শের প্রশ্নে মানুষের কল্যাণে আপসহীন। নিবেদিতপ্রাণ এক মহান রাজনৈতিক নেত্রী।

আজও চার দিকে নানা ষড়যন্ত্র। প্রতিবছর আগস্ট এলেই ভয়ে, গা ছমছম করে। বত্রিশ নম্বরে শোকদিবসের মিলাদে যাই, স্নরন সভায় প্রতি বছর যাই। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মুখের দিকে তাকাতে পারিনা। পরিবারের সবাইকে কি নির্মমতার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে অথচ তিনি দীর্ঘ সংগ্রামে গণরায় নিয়ে ক্ষমতায় এসে স্বাভাবিক বিচারপ্রক্রিয়ায়ই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন! কতটা সহনশীল হলে,কতটা উদার হলে এতটা রক্তের বেদনা বুকে নিয়ে,বছরের পর বছর যন্ত্রণা সয়ে,খুনীদের আস্ফালন উন্মাসিকতা ও দম্ভ সয়ে পথ হেটেছেন। খুনীরা তার সামনে সদম্ভে ঘুরেছে। শাসকের সেদিন আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল। কূটনৈতিক মিশনে চাকরিই দেওয়া হয়নি। প্রহসনের নির্বাচনে মহান সংসদেও আনা হয়েছিল। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। বাবার মতো শেখ হাসিনাও বিশ্বাস করেন, জনগণই ক্ষমতার শক্তি, আর জনগণের কল্যাণই রাজনীতি।

বঙ্গবন্ধু যৌবনে জেল জুলুম ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে জাতিকে গভীর ভালোবাসায় টেনে আস্হায় বিশ্বাস নিয়ে,স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।জীবন দিয়ে গেছেন পরিবার পরিজন সহ,দেশ ও মানুষের স্বার্থে আপোস করেননি। আজ তার কন্যা কত বাধা কত কাঁটা কত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করে সাহসীকতা ও প্রাজ্ঞতায় নেতৃত্বের দৃঢ়তায় মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিই নয় আধুনিক মালয়েশিয়ার মতোন, সিঙ্গাপুরের মতোন এগিয়ে নিচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় দেশ পিছিয়েছিলো।শেখ হাসিনা হাল ধরেছিলেন বলেই,বেঁচে আছেন বলেই কত বিশ্বমোড়লদের রক্তচক্ষু আমলে না নিয়ে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় নেবার লড়াই করছেন।উন্নয়ন কর্মযজ্ঞই এখন চারদিকে। সন্ত্রাসবাদ,জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স। একুশের সেই হামলায় আইভি রহমান সহ কত নেতাকর্মী মানুষ জীবন দিয়েছেন,কতজন পঙ্গু আহত।শেখ হাসিনা মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছিলেন বলেই ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশ হাটছে তার যোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে।দুনিয়ার নজর কেড়েছে।তাই শ্লোগান উঠেছে,শেখ হাসিনা যতদিন, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার কিছু হলেই ঘোর অন্ধকার অভিশাপ নামবে বাংলাদেশে। যে অন্ধকার থেকে আর কোনদিন বের হবেনা দেশ।তার বিকল্প তিনি নিজেই। তিনিই জাতির শেষ আশ্রয়।আজ সবার ভাববার সময়, সুসংগঠিত মানব প্রাচীর গড়ার সময়। আজ জাতীয় ঐক্যের সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপদ উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে।