ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেড়ার পশম থেকে তৈরি হচ্ছে বস্ত্র

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৬
  • ৫২৪ বার

দেশের প্রায় ৩৪ লাখ ভেড়া থেকে বছরে ৩ হাজার ৬০ মেট্রিক টন পশম সংগৃহিত হচ্ছে। এ পশমের সঙ্গে পাট ও সুতার মিশ্রণে সুতা তৈরি করে মানসম্মত শাল, কম্বল, পাপোস উৎপাদন করা হচ্ছে।

বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কৃষি, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, শালপ্রতি উৎপাদন ব্যয় ২৪৪ টাকা ও কম্বলপ্রতি উৎপাদন ব্যয় ৪৯৫ টাকা। পরীক্ষমূলকভাবে তৈরি করা এসব পণ্যের নমুনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে ‘সমাজভিত্তিক ও বাণিজ্যিক খামারে দেশীয় ভেড়ার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্প’ এর আওতায় ভেড়ার পশম, পাট ও সুতার মিশ্রণে সুতা তৈরির পর সেই সুতা দিয়ে এসব বস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া ভেড়ার পশম থেকে আরো উন্নতমানের রপ্তানিযোগ্য বস্ত্র তৈরি ও বাজারজাতকরণ এবং জনগণের মাঝে তা জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কৃষি এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পণ্যের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের যুক্ত করাসহ বাণিজ্যমেলায় প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করা হবে।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক ও প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ছাড়াও কৃষি এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ার পশম থেকে তৈরি হচ্ছে বস্ত্র

আপডেট টাইম : ১১:৪২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৬

দেশের প্রায় ৩৪ লাখ ভেড়া থেকে বছরে ৩ হাজার ৬০ মেট্রিক টন পশম সংগৃহিত হচ্ছে। এ পশমের সঙ্গে পাট ও সুতার মিশ্রণে সুতা তৈরি করে মানসম্মত শাল, কম্বল, পাপোস উৎপাদন করা হচ্ছে।

বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কৃষি, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, শালপ্রতি উৎপাদন ব্যয় ২৪৪ টাকা ও কম্বলপ্রতি উৎপাদন ব্যয় ৪৯৫ টাকা। পরীক্ষমূলকভাবে তৈরি করা এসব পণ্যের নমুনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে ‘সমাজভিত্তিক ও বাণিজ্যিক খামারে দেশীয় ভেড়ার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্প’ এর আওতায় ভেড়ার পশম, পাট ও সুতার মিশ্রণে সুতা তৈরির পর সেই সুতা দিয়ে এসব বস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া ভেড়ার পশম থেকে আরো উন্নতমানের রপ্তানিযোগ্য বস্ত্র তৈরি ও বাজারজাতকরণ এবং জনগণের মাঝে তা জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কৃষি এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পণ্যের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের যুক্ত করাসহ বাণিজ্যমেলায় প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করা হবে।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক ও প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ছাড়াও কৃষি এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।