সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, এটি কোটা বাতিলের আন্দোলন নয়, বাস্তবতার সাথে সমন্বয় রেখে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চায় শিক্ষার্থীরা।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা থাকতে পারে উল্লেখ করে ৫শতাংশ কোটাকে যৌক্তিক বলে দাবি করেন তারা। নাহিদ জানান, নির্বাহী বিভাগ থেকেই সিদ্ধান্ত আসতে হবে। কমিশন গঠনের মাধ্যমে কোটা সংস্কারের সিদ্ধান্ত আসলেই তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন বলেও জানান।
শিক্ষার্থীরা জানায়, কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সকল জায়গায় অযৌক্তিক কোটা কমিয়ে নতুন আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। এই আন্দোলনের সাথে আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
এদিন সকালে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এরপর হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে বলে রায় দেন চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।