ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওর কন্যা সেজেছে নবরূপে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • ৬১ বার

হাওরের জল শুকিয়ে নবরূপে সেজেছে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ। কৃষকের মূখে আনন্দের হাসি। কোন দৈবদুর্বিপাক না ঘটলে এবার ও ভূট্রার আবাদে বাম্পার ফলন হবে।

মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম  ছিল দূর্গম  এলাকা। পায়ে হেটেঁ চলাচল করতে হত মাইলের পর মাইল।  ভরা মৌসুমে ইন্জিন চালিত নৌকা ছাড়া গতন্তর ছিল না। জল জীবিকার একমাএ উৎস্য ছিল।

বর্তমান সরকারের শাসনামলে অল ওয়েদার রোড হওয়ায় জনসাধারণের  দুর্ভোগ  কমে যায়।  অল্প সময়ে এ তিন উপজেলায় যাতায়াত যেন স্বপ্নাতীত।  স্হানীয় হোটেল গুলোতেও দেশী মাছের খাবারে ভোক্তাদের ভিড়।

উপজেলা পরিষদ ভবন গুলোতে আগের তূলনায় জনসাধারণ এর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি  পেয়েছে।  বিস্তৃীর্ণ হাওর জুড়ে এখন বিভিন্ন ফসলের সমারোহে ভরপুর। প্রকৃতি যেন ফসলের  মাঠে  হামাগুড়ি খায়। কৃষকের মূখে প্রশান্তির হাসি  দেখেও ভাল লাগে।

এবার একটু দেরিতে হাওরে পানি এলেও হাওর সেজেছে নবরূপে। হাওরের অপরূপ সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে অগণিত ভ্রমণপিপাসু ছুটে আসছে হাওর ভ্রমণে। বিস্তীর্ণ হাওরের যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই অনাবিল সৌন্দর্যের স্বপ্নিল মায়াময় দৃশ্য। এসব দৃশ্য হাতছানি দিয়ে কাছে টানে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে।

চিত্তবিনোদনহীন মানুষ একটু আনন্দের খোঁজে চলে আসে হাওরের ভাসমান অলওয়েদার সড়ক, ভাসমান ব্রিজ, বিভিন্ন প্রজাতির বন, দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি দেখতে। বিকালের হাওরের অবারিত নীল আকাশ। সূর্য ডুবে যাওয়ার রক্তিম আবহ উপভোগ করার জন্য সমুদ্রসৈকত ছাড়া একমাত্র মাধ্যম হয়ে দেখা দিয়েছে বিস্তীর্ণ হাওরের বিশাল জলরাশি।

দেখা গেছে, শুকনো মৌসুমে হাওর মানে মাইলের পর মাইল ফসলি জমি, ধুলোওড়া মেঠোপথ, রুপালি নদী। এই বর্ষায় অন্য বছরের চেয়ে হাওরে পানি তুলনামূলকভাবে কম বলে মনে হচ্ছে। তারপরও পানির টানে এবার হাওরের বেশ কয়েকটি স্থানে ঢল নেমেছে দর্শণার্থীর। এর মধ্যে রয়েছে করিমগঞ্জ উপজেলার চামড়াঘাট, বালিখলা ও হাসানপুর ব্রিজ, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অল-ওয়েদার সড়ক ও বেড়িবাঁধ, শিমুলবাঁকের হিজলবন, মিঠামইনের কামালপুরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের বাড়ি, দিল্লীর আখড়া, নিকলী বেড়িবাঁধ, ছাতিরচরের হিজলবন এবং তাড়াইলের হিজলজানি হাওর।

হাওরের দ্বার হিসেবে সু-পরিচিত চামড়াঘাট নৌবন্দরেও প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ হাওরের বিশালত্ব দেখতে ছুটে যান। ফলে ভ্রমণপিপাসুদের কলতানে চামড়াঘাট নৌবন্দর জমজমাট হয়ে ওঠে। হাওরের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা ও হাসানপুর ব্রিজ এবার হাওর-আনন্দে নতুনমাত্রা যোগ করেছে। বিশাল পিচঢালা সড়কের দুইধারে হাজার হাজার জলযানের উপস্থিতি এক অপূর্ব দৃশ্যের সূচনা করেছে। কাকডাকা ভোর হতে শত শত মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে বালিখলার সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছে। বিশেষ করে পানির ওপর নৌকায় বসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অপার আনন্দে বিভোর ভ্রমণপিপাসুরা। এ ছাড়া ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক ও বেড়িবাঁধ, শিমুলবাঁকের হিজলবন, মিঠামইনের কামালপুরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের বাড়ি, দিল্লীর আখড়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের কলরব মুখরিত হয়ে উঠছে হাওরের উক্ত স্পটগুলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হাওর কন্যা সেজেছে নবরূপে

আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

হাওরের জল শুকিয়ে নবরূপে সেজেছে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ। কৃষকের মূখে আনন্দের হাসি। কোন দৈবদুর্বিপাক না ঘটলে এবার ও ভূট্রার আবাদে বাম্পার ফলন হবে।

মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম  ছিল দূর্গম  এলাকা। পায়ে হেটেঁ চলাচল করতে হত মাইলের পর মাইল।  ভরা মৌসুমে ইন্জিন চালিত নৌকা ছাড়া গতন্তর ছিল না। জল জীবিকার একমাএ উৎস্য ছিল।

বর্তমান সরকারের শাসনামলে অল ওয়েদার রোড হওয়ায় জনসাধারণের  দুর্ভোগ  কমে যায়।  অল্প সময়ে এ তিন উপজেলায় যাতায়াত যেন স্বপ্নাতীত।  স্হানীয় হোটেল গুলোতেও দেশী মাছের খাবারে ভোক্তাদের ভিড়।

উপজেলা পরিষদ ভবন গুলোতে আগের তূলনায় জনসাধারণ এর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি  পেয়েছে।  বিস্তৃীর্ণ হাওর জুড়ে এখন বিভিন্ন ফসলের সমারোহে ভরপুর। প্রকৃতি যেন ফসলের  মাঠে  হামাগুড়ি খায়। কৃষকের মূখে প্রশান্তির হাসি  দেখেও ভাল লাগে।

এবার একটু দেরিতে হাওরে পানি এলেও হাওর সেজেছে নবরূপে। হাওরের অপরূপ সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে অগণিত ভ্রমণপিপাসু ছুটে আসছে হাওর ভ্রমণে। বিস্তীর্ণ হাওরের যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই অনাবিল সৌন্দর্যের স্বপ্নিল মায়াময় দৃশ্য। এসব দৃশ্য হাতছানি দিয়ে কাছে টানে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে।

চিত্তবিনোদনহীন মানুষ একটু আনন্দের খোঁজে চলে আসে হাওরের ভাসমান অলওয়েদার সড়ক, ভাসমান ব্রিজ, বিভিন্ন প্রজাতির বন, দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি দেখতে। বিকালের হাওরের অবারিত নীল আকাশ। সূর্য ডুবে যাওয়ার রক্তিম আবহ উপভোগ করার জন্য সমুদ্রসৈকত ছাড়া একমাত্র মাধ্যম হয়ে দেখা দিয়েছে বিস্তীর্ণ হাওরের বিশাল জলরাশি।

দেখা গেছে, শুকনো মৌসুমে হাওর মানে মাইলের পর মাইল ফসলি জমি, ধুলোওড়া মেঠোপথ, রুপালি নদী। এই বর্ষায় অন্য বছরের চেয়ে হাওরে পানি তুলনামূলকভাবে কম বলে মনে হচ্ছে। তারপরও পানির টানে এবার হাওরের বেশ কয়েকটি স্থানে ঢল নেমেছে দর্শণার্থীর। এর মধ্যে রয়েছে করিমগঞ্জ উপজেলার চামড়াঘাট, বালিখলা ও হাসানপুর ব্রিজ, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অল-ওয়েদার সড়ক ও বেড়িবাঁধ, শিমুলবাঁকের হিজলবন, মিঠামইনের কামালপুরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের বাড়ি, দিল্লীর আখড়া, নিকলী বেড়িবাঁধ, ছাতিরচরের হিজলবন এবং তাড়াইলের হিজলজানি হাওর।

হাওরের দ্বার হিসেবে সু-পরিচিত চামড়াঘাট নৌবন্দরেও প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ হাওরের বিশালত্ব দেখতে ছুটে যান। ফলে ভ্রমণপিপাসুদের কলতানে চামড়াঘাট নৌবন্দর জমজমাট হয়ে ওঠে। হাওরের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা ও হাসানপুর ব্রিজ এবার হাওর-আনন্দে নতুনমাত্রা যোগ করেছে। বিশাল পিচঢালা সড়কের দুইধারে হাজার হাজার জলযানের উপস্থিতি এক অপূর্ব দৃশ্যের সূচনা করেছে। কাকডাকা ভোর হতে শত শত মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে বালিখলার সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছে। বিশেষ করে পানির ওপর নৌকায় বসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অপার আনন্দে বিভোর ভ্রমণপিপাসুরা। এ ছাড়া ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক ও বেড়িবাঁধ, শিমুলবাঁকের হিজলবন, মিঠামইনের কামালপুরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের বাড়ি, দিল্লীর আখড়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের কলরব মুখরিত হয়ে উঠছে হাওরের উক্ত স্পটগুলো।