ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গেলেই আ.লীগে যোগদান হয় না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৬
  • ৩২৫ বার

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম বিএনপি ছেড়ে ফের আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন ওঠেছে। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’র শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেয়ার পর থেকেই এ গুঞ্জন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মনজুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পূর্বপশ্চিমকে বলেন, আওয়ামী লীগ না করলে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যাওয়া যাবে না, এমন কোনো কথা নাই। বঙ্গবন্ধু সবার, তাকে হত্যা বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে নির্লজ কাজ। এদেশের বিবেকবান সব মানুষের মতোই এ জন্য আমি মর্মাহত। আর তাই শোক দিবসের আলোচনা সভায় গেলাম।

দলীয় রাজনীতিতে নিজেকে আর জড়ানো ইচ্ছে নেই জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক এ মেয়র বলেন, আমি বিএনপিও করি না, আওয়ামী লীগও করি না। আমি এখন সমাজসেবা ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। দলীয় রাজনীতি করার আর ইচ্ছে নেই। তবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ও দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের যোগদান করেছি বলে যারা গুঞ্জন তুলছে তারা ভুল করছে। শোক দিবসের অনুষ্ঠান বা আলোচনা সভায় গেলে আওয়ামী লীগে যোগদান হয় না।

মনজুর আলম বলেন, আমি যখন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলাম, তখনও মেয়র হিসেবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করেছি। কাজেই শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আমার জন্য নতুন কিছু না। ১২ বছর আগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি আমি। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আমি প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালন করি। এ বছরও তার ব্যত্যয় হয়নি। কিন্তু এবার এ নিয়ে মেতে উঠেছে মিডিয়া। মিডিয়া আমাকে আওয়ামী লীগে ফিরিয়ে এনে ছাড়ল। এটা ঠিক নয়।

২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে এম মনজুর আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ৯৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর তাঁকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়।২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলেও মনজুর আলম ভোট গ্রহণ শুরুর তিন ঘণ্টার মাথায় ‘কারচুপির’ অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা দেন তিনি।সম্প্রতি ঘোষিত বিএনপির নতুন কমিটিতে আর ঠাঁই হয়নি মনজুরের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গেলেই আ.লীগে যোগদান হয় না

আপডেট টাইম : ১১:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৬

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম বিএনপি ছেড়ে ফের আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন ওঠেছে। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’র শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেয়ার পর থেকেই এ গুঞ্জন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মনজুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পূর্বপশ্চিমকে বলেন, আওয়ামী লীগ না করলে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যাওয়া যাবে না, এমন কোনো কথা নাই। বঙ্গবন্ধু সবার, তাকে হত্যা বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে নির্লজ কাজ। এদেশের বিবেকবান সব মানুষের মতোই এ জন্য আমি মর্মাহত। আর তাই শোক দিবসের আলোচনা সভায় গেলাম।

দলীয় রাজনীতিতে নিজেকে আর জড়ানো ইচ্ছে নেই জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক এ মেয়র বলেন, আমি বিএনপিও করি না, আওয়ামী লীগও করি না। আমি এখন সমাজসেবা ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। দলীয় রাজনীতি করার আর ইচ্ছে নেই। তবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ও দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের যোগদান করেছি বলে যারা গুঞ্জন তুলছে তারা ভুল করছে। শোক দিবসের অনুষ্ঠান বা আলোচনা সভায় গেলে আওয়ামী লীগে যোগদান হয় না।

মনজুর আলম বলেন, আমি যখন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলাম, তখনও মেয়র হিসেবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করেছি। কাজেই শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আমার জন্য নতুন কিছু না। ১২ বছর আগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি আমি। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আমি প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালন করি। এ বছরও তার ব্যত্যয় হয়নি। কিন্তু এবার এ নিয়ে মেতে উঠেছে মিডিয়া। মিডিয়া আমাকে আওয়ামী লীগে ফিরিয়ে এনে ছাড়ল। এটা ঠিক নয়।

২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে এম মনজুর আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ৯৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর তাঁকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়।২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলেও মনজুর আলম ভোট গ্রহণ শুরুর তিন ঘণ্টার মাথায় ‘কারচুপির’ অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা দেন তিনি।সম্প্রতি ঘোষিত বিএনপির নতুন কমিটিতে আর ঠাঁই হয়নি মনজুরের।