সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট চুক্তি হয়েছে।এ নিয়ে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা মন্তব্য করছেন। তাদের বক্তব্য, এই চুক্তি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটের সুবিধার কথা তুলে ধরে গেল বুধবার জাতীয় সংসদে বলেছেন, বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ রাখতে পারি না। আজ পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগে। দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কানেক্টিভিটির (যোগাযোগ) সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শেখ হাসিনার ভারসাম্যের পররাষ্ট্রনীতি ও দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি। সেমিনারের আয়োজন করে সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের নীতি কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। আমাদের সঙ্গে যেমন ভারতবর্ষের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর অর্থ সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হওয়া নয়।ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সঙ্গেও কানেক্টিভিটি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে এগিয়ে যাওয়া দুরুহ বিষয়, সহজ নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে ‘কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’-এই নীতিতে এগিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশন বাংলাদেশের জন্য পৃথিবীতে সর্বোচ্চ ভিসা ইস্যু করে। তেমনি ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনগুলো থেকে বাংলাদেশের নাগরিক ও ভারতের নাগরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ভিসা ইস্যু করে। এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পৃথিবীতে অন্যতম বিরল ঘটনা।