ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের আন্দোলনের ঘোষণা কোটা বিরোধীদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • ৩০ বার

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আগামীকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় তারা আবার সড়কে নামবে। এবার তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেবেন। আগামীকালও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টায় শাহবাগ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

এর আগে পদযাত্রা বের করে হলপাড়া ঘুরে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব হয়ে শাহবাগ মোড়ে যায়। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই স্লোগান তোলে গগনবিদারী কণ্ঠে। এরপর ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, আপোশ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান ধরেন সম্মিলিত কণ্ঠে।

শাহবাগ মোড়ে এক ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের পর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সড়ক অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, এটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন। আমাদের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের যে ঘোষণাপত্র আছে সেখানে তিনটি মূলনীতি উল্লেখ আছে সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। কোটা পদ্ধতি আমাদের এই তিনটি মূলনীতির বিরুদ্ধে। আমরা আমাদের সংবিধানের এই তিনটি মূলনীতি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফের আন্দোলনের ঘোষণা কোটা বিরোধীদের

আপডেট টাইম : ১০:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আগামীকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় তারা আবার সড়কে নামবে। এবার তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেবেন। আগামীকালও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টায় শাহবাগ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

এর আগে পদযাত্রা বের করে হলপাড়া ঘুরে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব হয়ে শাহবাগ মোড়ে যায়। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই স্লোগান তোলে গগনবিদারী কণ্ঠে। এরপর ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, আপোশ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান ধরেন সম্মিলিত কণ্ঠে।

শাহবাগ মোড়ে এক ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের পর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সড়ক অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, এটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন। আমাদের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের যে ঘোষণাপত্র আছে সেখানে তিনটি মূলনীতি উল্লেখ আছে সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। কোটা পদ্ধতি আমাদের এই তিনটি মূলনীতির বিরুদ্ধে। আমরা আমাদের সংবিধানের এই তিনটি মূলনীতি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছি।