সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেছেন, তাকে কী উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে, এটা এখনো পরিষ্কার নয়। টাকা লেনদেনসহ যেসব বিষয় শোনা যাচ্ছে- সব বিষয় গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আজিম হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে বুধবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাহাড় থেকে গ্রেফতার করা হয় ফয়সাল আলী সাজি ও মোস্তাফিজুর রহমান নামের দুজনকে। পরে তাদের উড়োজাহাজে ঢাকায় আনা হয়।
ফয়সাল ও মোস্তাফিজুরের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে জানিয়ে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, এই দুজনসহ হত্যা মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া সাতজনই গ্রেফতার হলো।
গ্রেফতার দুজন নিজেদের পলাশ রায় ও শিমুল রায় পরিচয় দিয়ে একটি কালীমন্দিরে অবস্থান করছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
হারুন অর রশীদ বলেন, কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে আজিম হত্যায় শিমুল ভুঁইয়ার নেতৃত্বে সাতজন অংশ নেয়। সবশেষ এই দুইজনসহ পাঁচজন বাংলাদেশে গ্রেফতার হলেন।
তারা হলেন- শিমুল ভুঁইয়া, তানভীর ভুঁইয়া ও সেলেস্তি রহমান এবং সর্বশেষ বুধবার গ্রেফতার হওয়া ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর।
এর বাইরে ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন কসাই জিহাদ হাওলাদার এবং নেপালে ধরা পড়েন সিয়াম। সিয়ামকে পরে ভারতের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আজিম হত্যার হোতা আখতারুজ্জামান শাহীন ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান জানিয়ে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি কালকাতা পুলিশ গুরুত্বসহকারে দেখছে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনার গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস কলকাতায় জিডি করেন। দুই দেশেই তদন্ত শুরু হয়।