ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • ২১ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দুই দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই ছিল কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। একইসঙ্গে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের পর ভারতেও ছিল এটি প্রথমবারের মত কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের দ্বিপাক্ষিক সফর। এটি অবশ্যই আমার এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতামূলক বিশেষ সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয় তাকে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের টানা তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি ৮ থেকে ১০ জুন নয়াদিল্লি সফর করি। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই সফরে আমি ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দক্ষিণ এশিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলোর একাধিক সরকার প্রধানের সঙ্গে মতবিনিময় করি।

পাশাপাশি আলাদাভাবে আমার সঙ্গে ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার সরকার প্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এসব আলোচনা ও বৈঠক আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।

সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও একটি সাংবাদিক প্রতিনিধিদল সফরসঙ্গী ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দুই দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই ছিল কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। একইসঙ্গে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের পর ভারতেও ছিল এটি প্রথমবারের মত কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের দ্বিপাক্ষিক সফর। এটি অবশ্যই আমার এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতামূলক বিশেষ সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয় তাকে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের টানা তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি ৮ থেকে ১০ জুন নয়াদিল্লি সফর করি। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই সফরে আমি ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দক্ষিণ এশিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলোর একাধিক সরকার প্রধানের সঙ্গে মতবিনিময় করি।

পাশাপাশি আলাদাভাবে আমার সঙ্গে ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার সরকার প্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এসব আলোচনা ও বৈঠক আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।

সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও একটি সাংবাদিক প্রতিনিধিদল সফরসঙ্গী ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।