ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় নেত্রকোণার মদনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত পানিবন্ধি ১ হাজার ছয়শ বিশ পরিবার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
  • ৪৭ বার

নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার মদন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেল পর্যন্ত পানি বন্ধি হয়েছে ৩৪ টি গ্রামের ১ হাজাটর ৬২০ পরিবার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।

ভারিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ধনু, মগড়া, বালই, বর্ণি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার প্রত্যেকটি হাওরে পানি বাড়ছে। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা, জলমগ্নতা সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম ও মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মাঘান ইউনিয়েনের পদারকোনা (নয়াপড়া), রামদাসখিলা, চত্রমপুর, জঙ্গল-ডেমারগাতি ও ঘাটুয়া গুচ্ছগ্রাম। গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম, শান্তিপাড়া, রাজালিকান্দা, কদমশ্রী। মদন ইউনিয়নের বাগধাইর, বৃ-বড়িকান্দি। তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান, বালালী, ধুবাওয়ালা, ভাবানীপুর, বৈঠাখালি। ফতেপুর ইউনিয়নের লাছারকান্দা, দেওসহিলা,ফতেপুর গুচ্ছ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। টানা ভারি বৃষ্টি থাকায় কোন লোকজন বের হতে পারছেন না। তাছাড়া চারদিক পানি থাকায় সব ধরনের কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে।

মাঘান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম খান মাসুদ জানান, আমার ইউনিয়নের প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছে। সারাদিন বৃষ্টি থাকায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি। খাদ্য সংকট থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, আমার ইউনিয়নের বিয়াশি ও ফতেপুর গুচ্ছ গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে। আমি সার্বক্ষনিক তার খোঁজ খবর রাখছি। কোন পরিবার যাতে খাদ্য সংকটে না পড়ে তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মদন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ১ হাজার ৬২০ পরিবার পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্টোরুম, মনিটরিং টিম, মেডিকেল টিম, ত্রাণ বিতরণ টিম গঠন করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বন্যায় নেত্রকোণার মদনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত পানিবন্ধি ১ হাজার ছয়শ বিশ পরিবার

আপডেট টাইম : ১১:০৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার মদন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেল পর্যন্ত পানি বন্ধি হয়েছে ৩৪ টি গ্রামের ১ হাজাটর ৬২০ পরিবার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।

ভারিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ধনু, মগড়া, বালই, বর্ণি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার প্রত্যেকটি হাওরে পানি বাড়ছে। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা, জলমগ্নতা সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম ও মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মাঘান ইউনিয়েনের পদারকোনা (নয়াপড়া), রামদাসখিলা, চত্রমপুর, জঙ্গল-ডেমারগাতি ও ঘাটুয়া গুচ্ছগ্রাম। গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম, শান্তিপাড়া, রাজালিকান্দা, কদমশ্রী। মদন ইউনিয়নের বাগধাইর, বৃ-বড়িকান্দি। তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান, বালালী, ধুবাওয়ালা, ভাবানীপুর, বৈঠাখালি। ফতেপুর ইউনিয়নের লাছারকান্দা, দেওসহিলা,ফতেপুর গুচ্ছ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। টানা ভারি বৃষ্টি থাকায় কোন লোকজন বের হতে পারছেন না। তাছাড়া চারদিক পানি থাকায় সব ধরনের কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে।

মাঘান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম খান মাসুদ জানান, আমার ইউনিয়নের প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছে। সারাদিন বৃষ্টি থাকায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি। খাদ্য সংকট থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, আমার ইউনিয়নের বিয়াশি ও ফতেপুর গুচ্ছ গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে। আমি সার্বক্ষনিক তার খোঁজ খবর রাখছি। কোন পরিবার যাতে খাদ্য সংকটে না পড়ে তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মদন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ১ হাজার ৬২০ পরিবার পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্টোরুম, মনিটরিং টিম, মেডিকেল টিম, ত্রাণ বিতরণ টিম গঠন করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।