নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদনে মাদ্রাসার বাথরুম থেকে মোঃ মনজুরুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী বাঘমারা আব্দুল রাজ্জাক দাখিল মাদ্রাসার বাথরুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিক্ষক মনজুরুল হক নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বালিজুরা গ্রামের মৃত তাহের আলীর ছেলে। তিনি ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
মাদ্রাসা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মনজুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে বালালী বাঘমারা আব্দুল রাজ্জাক দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। মাদ্রাসার কাছের একটি বাড়িতে তিনি পরিবার বসবাস করতেন। কয়েকদিন দিন ধরে তিনি শারীরিক অসুস্থায় ভুগছিলেন। গত ৩ দিন আগে অসুস্থার জন্য মাদ্রাসার সুপারের কাছে ছুটি চান। কিন্তু সুপার ছুটি দেননি।
অসুস্থতা নিয়ে বুধবার (১২ জুন) মাদ্রাসায় আসেন তিনি। পরে শিক্ষক মনজুরুল হক বাথরুমে গেলে আর বের হয়নি। কিছুক্ষণ পর তার ছেলে জুনায়েদ (৭) তাকে মাদ্রাসায় খুঁজতে আসে। ছেলেকে সুপার জানান তার বাবা বাথরুমে গেছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও মনজুরুল হক বের না হওয়ায় ছেলে জুনায়েদ বাথরুমে যায়। বাবাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষনা করেন।
এ বিষয় শিক্ষক মনজুরুল হকের স্ত্রী হাফছা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য বার বার তিনি মাদ্রাসার সুপারের কাছে ছুটি চান। কিন্তু সুপার ছুটি দেননি। আজ মাদ্রাসার বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বালালী বাঘমারা আব্দুল রাজ্জাক দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ বজলুর রহমান জানান, সহকারী শিক্ষক মনজুরুল হক আমার কাছে লিখিত ভাবে কোনো ছুটি চায়নি।
মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ আরজু মিয়া জানান, শিক্ষক মনজুরুল হক চিকিৎসার জন্য ছুটি চেয়েও পাননি এ বিষয়টি তাঁর স্ত্রী আমাকে অবগত করেছে। চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে একজন শিক্ষক মারা যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, শিক্ষক মারা যাওয়ার ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।