ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে ড. ইউনূসের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
  • ৫৪ বার

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।তার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

তবে যেসব ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে দণ্ডবিধির-৪০৯ ধারা রয়েছে। এ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।

এছাড়া মানি লন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের সাজা হয়েছে। অন্যান্য ধারায়ও শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, মামলা নিস্পত্তির পর আদালত পর্যালোচনা করবেন।

এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারের নির্দেশেই হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মত কোনো উপদান ছিল না মামলায়। আমরা এ অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে ড. ইউনূসের

আপডেট টাইম : ০৪:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।তার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

তবে যেসব ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে দণ্ডবিধির-৪০৯ ধারা রয়েছে। এ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।

এছাড়া মানি লন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের সাজা হয়েছে। অন্যান্য ধারায়ও শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, মামলা নিস্পত্তির পর আদালত পর্যালোচনা করবেন।

এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারের নির্দেশেই হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মত কোনো উপদান ছিল না মামলায়। আমরা এ অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।