ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪, ৯ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ বছরে দরিদ্র নারীদের ১৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • ৯ বার

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, গত ১৫ বছরে গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের মাঝে ১৩০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) জাতীয় সংসদে ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।

গত ১৫ বছরের (২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪) সাফল্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ১২৯ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। উল্লিখিত বরাদ্দ দ্বারা এ পর্যন্ত এক লাখ ২৪ জন গ্রামীণ দরিদ্র নারীকে ১৩০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত এসব ঋণ থেকে আদায়ের পরিমাণ ১০৭ কোটি ৩৫ লাখ ৮ হাজার। যা আদায়ের হার ৮২.১৭ শতাংশ।

তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের নারীদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন করতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতায় জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদের মধ্যে আয়বর্ধক কর্মসূচি, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু-ছাগল মোটাতাজাকরণসহ নানা কাজে ঋণ দেওয়া হয়। কর্মক্ষম স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবারা জেলা বা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করতে পারেন।

তিনি  আরো বলেন, ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কোনো সুদ আদায় করা হয় না। তবে ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। একজন নারীকে এককভাবে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

১৫ বছরে দরিদ্র নারীদের ১৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ

আপডেট টাইম : ১০:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, গত ১৫ বছরে গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের মাঝে ১৩০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) জাতীয় সংসদে ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।

গত ১৫ বছরের (২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪) সাফল্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ১২৯ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। উল্লিখিত বরাদ্দ দ্বারা এ পর্যন্ত এক লাখ ২৪ জন গ্রামীণ দরিদ্র নারীকে ১৩০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত এসব ঋণ থেকে আদায়ের পরিমাণ ১০৭ কোটি ৩৫ লাখ ৮ হাজার। যা আদায়ের হার ৮২.১৭ শতাংশ।

তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের নারীদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন করতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতায় জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদের মধ্যে আয়বর্ধক কর্মসূচি, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু-ছাগল মোটাতাজাকরণসহ নানা কাজে ঋণ দেওয়া হয়। কর্মক্ষম স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবারা জেলা বা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করতে পারেন।

তিনি  আরো বলেন, ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কোনো সুদ আদায় করা হয় না। তবে ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। একজন নারীকে এককভাবে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।