সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)’ আয়োজিত ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এনআইডি জালিয়াতির অপরাধ ঘটছে। কোনো না কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে অপরাধীরা এটি করছে। আমাদেরকে জালিয়াতির তথ্য দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই এবং বঙ্গবন্ধুর খুনির সন্তানদের এনআইডি জালিয়াতির তথ্য পাওয়ার পর আমরা তদন্ত করছি। পুরো সিস্টেমের এক শতাংশ হয়তো এই জালিয়াতিতে যুক্ত। তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট দেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলতে পারে। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু মৌলিক সমঝোতা প্রয়োজন। দেশের সার্বিক নির্বাচন ব্যবস্থার আরও সংস্কার প্রয়োজন। এতে ব্যক্তির গুরুত্ব কমে যাবে, নির্বাচনব্যবস্থা আরও সুসংহত হবে।
দেশের রাজনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ এখনো গলেনি। সার্বিক পরিবেশ এখনো পুরোপুরি অনুকূলে হয়ে ওঠেনি। তবুও আমি আশাবাদী সংকট নিরসন হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, নির্বাচনি দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন কারণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকায় এনআইডি সংশোধনের আবেদন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যথাসময়ে নিষ্পন্ন করা সম্ভব হয় না। এমনকি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আবেদনসমূহ অনিষ্পন্ন রয়েছে। গত ৫ জুন পর্যন্ত এনআইডি সংশোধনের অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা তিন লাখ ৬৪ হাজার ১৬১টি। আর প্রক্রিয়াধীন আবেদন রয়েছে মোট দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯০৩টি।
আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে সিইসি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।