ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও বাড়ছে বাংলাদেশে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • ৩৩ বার

আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। পরিবহণ সংশ্লিষ্ট জ্বালানি উপকরণসহ জাহাজ ভাড়া কমেছে। এর প্রভাবে বৈশ্বিকভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। কোনো কোনো দেশে এ হার কমে নেতিবাচক পর্যায়ে বা কোনো মূল্যস্ফীতি হচ্ছে না। উলটো খাদ্যের দাম কমছে। মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় যেসব দেশ নাকাল হয়ে পড়েছিল ওই সব দেশে এখন এ হার ২ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ হার বেড়েই চলেছে।

২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০২২ সালে এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। ওই বছরের মে মাসে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এরপর থেকে এ হার বেড়েই চলেছে। গত এপ্রিলে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। গত তিন বছর ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশের ওপরে।

সোমবার রাতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় মে মাসে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। ওই এ হার বেড়ে ওই সব দেশ ডাবল ডিজিট অতিক্রম করেছিল। ওই সব দেশ ইতোমধ্যে তা ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও তা কমছে না। উলটো আরও বেড়ে যাচ্ছে। গত এপ্রিলে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। ওই সময়ে সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ভুটানে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, নেপালে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে। অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ডাবল ডিজিটের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। দেশটি এখন এ হার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। দেনার দায়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া শ্রীলংকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। মালদ্বীপে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ খাতে সফল হয়নি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ডাবল ডিজিটে উঠেছিল। এখন তা কমে যুক্তরাষ্ট্রে ২ দশমিক ২ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্য দেশগুলোতেও এ হার কমছে। কম্বোডিয়ায় এপ্রিলে কোনো মূল্যস্ফীতি হয়নি। ইন্দোনেশিয়ায় এ হার ৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, থাইল্যান্ডে দশমিক ৩ শতাংশ, ব্রাজিলে ৩ দশমিক ১ শতাংশ, চীনে মাইনাস ২ দশমিক ৮ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২ শতাংশে নেমেছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে এ হার কমে এপ্রিলে দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে। জাপানে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, সৌদি আরবে দশমিক ৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ৩ শতাংশ।

অর্থনৈতিক সংকটে থাকা কিছু দেশে এ হার এখনো বেশি। তবে ওই সব দেশে সরকারি কার্যক্রমের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ ভোক্তার ওপর বেশি পড়ছে না। ইরানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, মিয়ানমারেও ৫৩ দশমিক ১ শতাংশ।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও বাড়ছে বাংলাদেশে

আপডেট টাইম : ১১:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। পরিবহণ সংশ্লিষ্ট জ্বালানি উপকরণসহ জাহাজ ভাড়া কমেছে। এর প্রভাবে বৈশ্বিকভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। কোনো কোনো দেশে এ হার কমে নেতিবাচক পর্যায়ে বা কোনো মূল্যস্ফীতি হচ্ছে না। উলটো খাদ্যের দাম কমছে। মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় যেসব দেশ নাকাল হয়ে পড়েছিল ওই সব দেশে এখন এ হার ২ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ হার বেড়েই চলেছে।

২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০২২ সালে এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। ওই বছরের মে মাসে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এরপর থেকে এ হার বেড়েই চলেছে। গত এপ্রিলে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। গত তিন বছর ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশের ওপরে।

সোমবার রাতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় মে মাসে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। ওই এ হার বেড়ে ওই সব দেশ ডাবল ডিজিট অতিক্রম করেছিল। ওই সব দেশ ইতোমধ্যে তা ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও তা কমছে না। উলটো আরও বেড়ে যাচ্ছে। গত এপ্রিলে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। ওই সময়ে সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ভুটানে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, নেপালে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে। অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ডাবল ডিজিটের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। দেশটি এখন এ হার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। দেনার দায়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া শ্রীলংকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। মালদ্বীপে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ খাতে সফল হয়নি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ডাবল ডিজিটে উঠেছিল। এখন তা কমে যুক্তরাষ্ট্রে ২ দশমিক ২ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্য দেশগুলোতেও এ হার কমছে। কম্বোডিয়ায় এপ্রিলে কোনো মূল্যস্ফীতি হয়নি। ইন্দোনেশিয়ায় এ হার ৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, থাইল্যান্ডে দশমিক ৩ শতাংশ, ব্রাজিলে ৩ দশমিক ১ শতাংশ, চীনে মাইনাস ২ দশমিক ৮ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২ শতাংশে নেমেছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে এ হার কমে এপ্রিলে দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে। জাপানে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, সৌদি আরবে দশমিক ৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ৩ শতাংশ।

অর্থনৈতিক সংকটে থাকা কিছু দেশে এ হার এখনো বেশি। তবে ওই সব দেশে সরকারি কার্যক্রমের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ ভোক্তার ওপর বেশি পড়ছে না। ইরানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, মিয়ানমারেও ৫৩ দশমিক ১ শতাংশ।