ফরিদপুরে মাদক মামলায় শেখ আজম নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) সিহাবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শেখ আজম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলহাজতে পাঠানো হয়।
শেখ আজমের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাঁচুরিয়া গ্রামে। তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত অবস্থায় বরখাস্ত হন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী রেলগেট সংলগ্ন স্থানে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল পথচারীকে চাপা দিয়ে চালক ও আরোহী রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে মোটরসাইকেলচালক পালিয়ে যান। পরে মোটরসাইকেলে থাকা আরোহীকে উঠানোর সময় ব্যাগের মধ্যে ফেনসিডিল দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে মধুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শেখ আজম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। পরে মোটরসাইকেলের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৮৩ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শেখ আজম জানান, তিনি ঝিনাইদহ জেলায় ট্রাফিক পুলিশের টিআই হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় মধুখালী থানায় একটি মাদক মামলা হয়। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ রায় প্রদান করা হয়। মামলার অপর আসামি মোটরসাইকেল চালক নুর আলমকে খালাস প্রদান করা হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, নিষিদ্ধ ফেনসিডিল বহনের দায়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। শেখ আজম ও মোটরসাইকেল চালক নুর আলম দুই বন্ধু ছিলেন। তারা পরস্পর যোগসাজশে মাদকের ব্যবসা করতেন।