ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০১৬
  • ২৪১ বার

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ এখন এই সামাজিক ব্যাধিকে ‘না’ বলছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার সরকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গুইয়েন কোয়াং থু-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন।

ভিয়েতনামকে মহান রাষ্ট্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম দুটি দেশের ইতিহাসই একই সূত্রে গাথা, দুটি দেশই সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যদিও স্বাধীনতা অর্জনের সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আমরা জাতির পিতাকে হারিয়ে ফেলি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে এবং তারপর থেকেই দেশের উন্নয়নে, বিশেষ করে জনসাধারণকে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটি বৃহৎ বাজার রয়েছে এবং আমাদেরকে তা কাজে লাগাতে হবে।’ দুই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী এসময় কানেকটিভি জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশ দুটির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সফর বিনিময়ের বিষয়ে জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০১২ সালে তার ভিয়েতনাম সফরের কথা স্মরণ করে এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির উন্নয়নের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, তার গতিশীল নেতৃত্বেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সফল ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বহুদিন যাবত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে উল্লেখ করে দায়িত্ব পালনকালে সব রকমের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান গুইয়েন কোয়াং।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তারা সবসময়ই সর্বাাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন উল্লেখ করে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে।’ প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১২:৫২:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০১৬

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ এখন এই সামাজিক ব্যাধিকে ‘না’ বলছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার সরকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গুইয়েন কোয়াং থু-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন।

ভিয়েতনামকে মহান রাষ্ট্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম দুটি দেশের ইতিহাসই একই সূত্রে গাথা, দুটি দেশই সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যদিও স্বাধীনতা অর্জনের সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আমরা জাতির পিতাকে হারিয়ে ফেলি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে এবং তারপর থেকেই দেশের উন্নয়নে, বিশেষ করে জনসাধারণকে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটি বৃহৎ বাজার রয়েছে এবং আমাদেরকে তা কাজে লাগাতে হবে।’ দুই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী এসময় কানেকটিভি জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশ দুটির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সফর বিনিময়ের বিষয়ে জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০১২ সালে তার ভিয়েতনাম সফরের কথা স্মরণ করে এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির উন্নয়নের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, তার গতিশীল নেতৃত্বেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সফল ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বহুদিন যাবত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে উল্লেখ করে দায়িত্ব পালনকালে সব রকমের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান গুইয়েন কোয়াং।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তারা সবসময়ই সর্বাাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন উল্লেখ করে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে।’ প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।