পায়ের খুব সংবেদনশীল এক জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। ওষুধ সেবনের পাশাপাশি বিশ্রাম ছাড়া এই চোট থেকে সেরে ওঠার আর কোনো পথ নেই। চিকিৎসক ও বসুন্ধরা কিংসের ফিজিও আবু সুফিয়ানের পরামর্শে তিন মাস ধরে সেটাই করে আসছিলেন শেখ মোরসালিন। তাতে ডান পায়ের পাতায় পাওয়া সেই আঘাত কিছুটা প্রশমন হওয়ায় সপ্তাহ তিনেক আগে ফিরেছেন মাঠে।
তবে দলের সঙ্গে নয়, একাকী নিজেকে ফিরে পেতে নেমে পড়েন তরুণ এই মিডফিল্ডার। মাঠে শুধু রানিং করেই সময় পার করেছেন, বল নিয়ে অনুশীলনে নামা হয়নি তাঁর। নামবেনই বা কী করে! বলে শুটিং করতে গেলেই যে ব্যথা পাচ্ছেন তিনি। সেই ব্যথা কমাতেই এই লড়াই মোরসালিনের।
ঢাকায় কয়েক দফা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মোরসালিন শরণাপন্ন হন ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞের। গত মার্চের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় গিয়ে সেখানকার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বিকাশ কাপুরকে দেখান পায়ের সর্বশেষ অবস্থা। ঢাকায় করানো রিপোর্ট দেখানোর পর আরো পর্যবেক্ষণ করে সুখবর দিয়ে বিকাশ কাপুর জানিয়েছেন, পায়ের পাতায় আর কোনো ফ্র্যাকচার নেই। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুতই মাঠে ফিরতে পারবেন মোরসালিন।
তবে এটাও দেখতে হবে যে, বলে শুটিং করলে ব্যথা অনুভব করেন কি না। সে ক্ষেত্রে ব্যথা পেলে আরো কিছুদিন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে তাঁকে। মোরসালিন অবশ্য আশা করছেন শিগগিরই দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলনে নামতে পারবেন, ‘কলকাতার চিকিৎসক বলেছেন, দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তাড়াতাড়িই মাঠে ফিরতে পারব। আমাদের ক্লাবের ফিজিওকে সঙ্গে নিয়ে একা একা কাজ করেছি।
আশা করছি, ঈদের পর দলের সঙ্গে অনুশীলন করব। তখন বলে শুটিং করলে পায়ের অবস্থা কেমন হয় সেটা দেখতে হবে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠব।’ এমন এক চোটের কারণে এত দিন খেলার বাইরে থাকায় হতাশাও আছে তাঁর মধ্যে, ‘ভাবিনি এই চোট এভাবে ভোগাবে আমাকে। খেলতে না পারলে তো খারাপ লাগেই।’ গত ২৬ ডিসেম্বর ফেডারেশন কাপের ম্যাচে এই চোট পেয়েছিলেন তিনি।
২০২৩ সালে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স দিয়েই নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোয় আনেন মোরসালিন। জাতীয় দলে নিয়মিত খেললেও চলতি মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে বিদেশিদের ভিড়ে নিজেকে কতটুকু মেলে ধরতে পারেন সেটা নিয়েও ছিল আগ্রহ। কিন্তু এবার লিগে এখনো কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁর। এ মৌসুমে ক্লাবের বাকি সাত ম্যাচেও খেলতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করছে পায়ের ব্যথার ওপরই।