দেশের দুই অঞ্চলের (রাজশাহী ও পাবনা) চলমান তাপপ্রবাহ কমার কোনো আভাস নেই। বরং নতুন করে ঢাকা, খুলনাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এটি বিস্তার লাভ করতে পারে। এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তারা জানিয়েছে, চলমান মৃদু এবং মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এবং আরও বিস্তার লাভ করবে। একইসঙ্গে পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে ভ্যাপসা গরম পরিবেশে অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের সই করা আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। আবার পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বৃদ্ধি পাবে।
তবে এর মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অপরদিকে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবারও (২ এপ্রিল) ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এদিনও চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
অপরদিকে বুধবারও (৩ এপ্রিল) সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া পাঁচ দিনের বর্ধিত আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মংলায় ও ঈশ্বরদীতে ৩৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নিকলিতে ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।