ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমের সাতকাহন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০১৫
  • ৪২১ বার
ইদানীং অধিকাংশ মহিলাই খুব ফিগার কনসাস৷‌ আমে যেহেতু মিষ্টির পরিমাণ বেশি তাই ভাবেন আমের মধ্যে থাকা সুগার হয়তো ফ্যাট নিয়ে আসবে৷‌ কিন্তু এই ধারণা যে শুধু ভুল তাই নয়, যথেষ্ট হাস্যকর৷‌ অন্যান্য ফলের তুলনায় আমের ক্যালরি এবং সুগার বেশি৷‌ মানুষের শরীরের পক্ষে তা মোটেই বেশি নয়৷‌ একটা ২০০ গ্রাম আম থেকে খুব বেশি হলে খাওয়া হয় ১২৫ গ্রাম৷‌ সেদিক থেকে দেখতে গেলে এটা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি৷‌
আমের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো বিটা ক্যারোটিন, যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট৷‌ তা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে৷‌ এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে৷‌
ইদানিং আম দিয়ে ব্লাড ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার সারিয়ে তোলার গভীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে৷‌ অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষার ফলে সাফল্য মিলছে৷‌
আমের হলুদ শাঁসালো অংশ শরীরে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’তে পরিবর্তিত হয়ে যায়৷‌ চোখের স্বচ্ছ দৃষ্টির জন্য এটা খুবই উপকারী৷‌
আমের একটি অন্যতম উপাদান হলো ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম, ব্লাড প্রেসারকে নর্মাল রাখে৷‌ যাঁদের প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিশ্চিন্তে পরিমিত আম অবশ্যই খান৷‌
এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও অমূল্য ওষুধ হিসেবে কাজে আসতে পারে৷‌ আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটা পরিপাক ক্রিয়াকে সক্রিয় রাখতে পারে৷‌
যাঁদের ত্বকে অ্যাকনে, ছুলি বা এই জাতীয় কোনো সমস্যা রয়েছে আমের শাঁস ব্যবহার সেইসব ক্ষেত্রে ভালো ফল দেয়৷‌ তাছাড়া আম ত্বককে চকচকে করে তোলে৷‌
বিভিন্ন হরমোনের স্বাভাবিকতাকে তরান্বিত করতে আমের জুড়ি মেলা ভার৷‌ ফলে শরীর রোগমুক্ত থাকে৷‌
ভিটামিন ‘সি’ এর কোলেস্টরেল আয়ত্তে রাখতে অত্যন্ত উপকারী৷‌ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কর্মদক্ষতা অত্যন্ত বাড়িয়ে তুলতে পারে একটা পাকা এবং তাজা মিষ্টি আম৷‌
সুগারের রোগীদের ইনসুলিন লেভেল ঠিক রাখতে আমের আশ্চর্য ঔষধী গুণ আবিষ্কৃত হয়েছে৷‌ পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন একটি আম শরীরে সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখতে চমৎকার ফল দেয়৷‌
পাকা আমের শাঁস হজমশক্তিকে স্বাভাবিক করতে খুব ভালো ফল দেয়৷‌ আম হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচাতে অব্যর্থ৷‌
প্রতিদিন সন্ধের স্ন্যাক্সে শিঙাড়া রোল বা তেলেভাজা মুড়ি না খেয়ে একটা আম দিয়ে টিফিন করুন৷‌ শরীরের ভেতর এবং বাইরে দু’দিকেই আপনাকে তাজা রাখবে এই মধুর ফল৷‌
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমের সাতকাহন

আপডেট টাইম : ০৪:২০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০১৫
ইদানীং অধিকাংশ মহিলাই খুব ফিগার কনসাস৷‌ আমে যেহেতু মিষ্টির পরিমাণ বেশি তাই ভাবেন আমের মধ্যে থাকা সুগার হয়তো ফ্যাট নিয়ে আসবে৷‌ কিন্তু এই ধারণা যে শুধু ভুল তাই নয়, যথেষ্ট হাস্যকর৷‌ অন্যান্য ফলের তুলনায় আমের ক্যালরি এবং সুগার বেশি৷‌ মানুষের শরীরের পক্ষে তা মোটেই বেশি নয়৷‌ একটা ২০০ গ্রাম আম থেকে খুব বেশি হলে খাওয়া হয় ১২৫ গ্রাম৷‌ সেদিক থেকে দেখতে গেলে এটা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি৷‌
আমের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো বিটা ক্যারোটিন, যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট৷‌ তা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে৷‌ এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে৷‌
ইদানিং আম দিয়ে ব্লাড ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার সারিয়ে তোলার গভীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে৷‌ অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষার ফলে সাফল্য মিলছে৷‌
আমের হলুদ শাঁসালো অংশ শরীরে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’তে পরিবর্তিত হয়ে যায়৷‌ চোখের স্বচ্ছ দৃষ্টির জন্য এটা খুবই উপকারী৷‌
আমের একটি অন্যতম উপাদান হলো ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম, ব্লাড প্রেসারকে নর্মাল রাখে৷‌ যাঁদের প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিশ্চিন্তে পরিমিত আম অবশ্যই খান৷‌
এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও অমূল্য ওষুধ হিসেবে কাজে আসতে পারে৷‌ আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটা পরিপাক ক্রিয়াকে সক্রিয় রাখতে পারে৷‌
যাঁদের ত্বকে অ্যাকনে, ছুলি বা এই জাতীয় কোনো সমস্যা রয়েছে আমের শাঁস ব্যবহার সেইসব ক্ষেত্রে ভালো ফল দেয়৷‌ তাছাড়া আম ত্বককে চকচকে করে তোলে৷‌
বিভিন্ন হরমোনের স্বাভাবিকতাকে তরান্বিত করতে আমের জুড়ি মেলা ভার৷‌ ফলে শরীর রোগমুক্ত থাকে৷‌
ভিটামিন ‘সি’ এর কোলেস্টরেল আয়ত্তে রাখতে অত্যন্ত উপকারী৷‌ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কর্মদক্ষতা অত্যন্ত বাড়িয়ে তুলতে পারে একটা পাকা এবং তাজা মিষ্টি আম৷‌
সুগারের রোগীদের ইনসুলিন লেভেল ঠিক রাখতে আমের আশ্চর্য ঔষধী গুণ আবিষ্কৃত হয়েছে৷‌ পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন একটি আম শরীরে সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখতে চমৎকার ফল দেয়৷‌
পাকা আমের শাঁস হজমশক্তিকে স্বাভাবিক করতে খুব ভালো ফল দেয়৷‌ আম হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচাতে অব্যর্থ৷‌
প্রতিদিন সন্ধের স্ন্যাক্সে শিঙাড়া রোল বা তেলেভাজা মুড়ি না খেয়ে একটা আম দিয়ে টিফিন করুন৷‌ শরীরের ভেতর এবং বাইরে দু’দিকেই আপনাকে তাজা রাখবে এই মধুর ফল৷‌