ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নেতানিয়াহুর সম্মতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • ১৯ বার

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কাতারের রাজধানী দোহা ও মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই আলোচনা হবে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) নেতানিয়াহুর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানুষের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দেওয়া নির্দেশের পরদিনই তিনি এই সম্মতি দিলেন।

চলতি সপ্তাহে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পরও আজ পর্যন্ত গাজায় হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েল। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতির কয়েক দফা আলোচনা ভেস্তে গেছে। তবে, এবারের এই সম্মতি সামরিক অভিযানকে থামিয়ে দিতে পারে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধান আলোচকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি কাতার ও মিশরের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিতে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের অনুমোদন দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা চলমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘ আরও বলছে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নেতানিয়াহুর সম্মতি

আপডেট টাইম : ১২:৩১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কাতারের রাজধানী দোহা ও মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই আলোচনা হবে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) নেতানিয়াহুর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানুষের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দেওয়া নির্দেশের পরদিনই তিনি এই সম্মতি দিলেন।

চলতি সপ্তাহে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পরও আজ পর্যন্ত গাজায় হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েল। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতির কয়েক দফা আলোচনা ভেস্তে গেছে। তবে, এবারের এই সম্মতি সামরিক অভিযানকে থামিয়ে দিতে পারে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধান আলোচকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি কাতার ও মিশরের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিতে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের অনুমোদন দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা চলমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘ আরও বলছে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।