ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জন্মদিন আজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • ৩১ বার
প্রথম ব্যক্তি হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে পরপর তিন মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তাঁর ৬৯তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৫৬ সালের ৩০ মার্চ উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক এবং জাহানারা হকের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।

আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বিশ্বস্ত ছিলেন।

তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কাছ থেকে সহায়তা চাইতে ভারতে প্রবেশকারী প্রথম ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তার মা জাহানারা হক ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং শিক্ষাবিদ।আনিসুল হক ঢাকার সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে ও-লেভেল সম্পন্ন করেছেন। এরপর তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড লেভেল (এ-লেভেল) সম্পন্ন করেন।

এ-লেভেল শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবিতে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে তিনি এলএলএম সম্পন্ন করেন। আনিসুল হক ১৯৮৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর নূর আমতুল্লাহ রিনা হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি তার স্ত্রী ঢাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তার কোনো সন্তান নেই।আনিসুল হক ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে ঢাকা জেলা বারে এবং ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসাবে নিবন্ধিত হন এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হন।

পিতার মৃত্যুর পর আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেল হত্যা মামলার চিফ স্পেশাল প্রসিকিউটর হন।

তার আইনজীবীর অধীনেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শেষ হয় এবং এ দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন। আনিসুল হক দুর্নীতি দমন কমিশনের চিফ কাউন্সেল ও স্পেশাল প্রসিকিউটর ছিলেন। আনিসুল হক ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পর্কিত পিলখানা হত্যা মামলার প্রধান প্রসিকিউটরও ছিলেন।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১২ জানুয়ারি তিনি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি সংসদ-সদস্য হিসাবে শপথ প্রহণ করেন। এরপর তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে ৭ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, আনিসুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১০ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ-সদস্য এবং ১১ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জন্মদিন আজ

আপডেট টাইম : ১১:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
প্রথম ব্যক্তি হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে পরপর তিন মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তাঁর ৬৯তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৫৬ সালের ৩০ মার্চ উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক এবং জাহানারা হকের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।

আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বিশ্বস্ত ছিলেন।

তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কাছ থেকে সহায়তা চাইতে ভারতে প্রবেশকারী প্রথম ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তার মা জাহানারা হক ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং শিক্ষাবিদ।আনিসুল হক ঢাকার সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে ও-লেভেল সম্পন্ন করেছেন। এরপর তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড লেভেল (এ-লেভেল) সম্পন্ন করেন।

এ-লেভেল শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবিতে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে তিনি এলএলএম সম্পন্ন করেন। আনিসুল হক ১৯৮৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর নূর আমতুল্লাহ রিনা হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি তার স্ত্রী ঢাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তার কোনো সন্তান নেই।আনিসুল হক ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে ঢাকা জেলা বারে এবং ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসাবে নিবন্ধিত হন এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হন।

পিতার মৃত্যুর পর আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেল হত্যা মামলার চিফ স্পেশাল প্রসিকিউটর হন।

তার আইনজীবীর অধীনেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শেষ হয় এবং এ দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন। আনিসুল হক দুর্নীতি দমন কমিশনের চিফ কাউন্সেল ও স্পেশাল প্রসিকিউটর ছিলেন। আনিসুল হক ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পর্কিত পিলখানা হত্যা মামলার প্রধান প্রসিকিউটরও ছিলেন।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১২ জানুয়ারি তিনি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি সংসদ-সদস্য হিসাবে শপথ প্রহণ করেন। এরপর তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে ৭ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, আনিসুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১০ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ-সদস্য এবং ১১ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন।