সাকিব আল হাসানের জন্মদিন ছিল রোববার। ৩৬ পেরিয়ে ৩৭-এ পা দিয়েছেন সাকিব। জন্মদিনের দিনটা সাকিব রাঙিয়েছেন নিজের মতো করে। সারা দিন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলে বিকালে গেছেন একটি পণ্যের দূতিয়ালি করতেই। সেখানেও শুভেচ্ছায় ভেসেছেন তারকা অলরাউন্ডার।
১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কত রেকর্ডই তো নিজের নামে করে নিয়েছেন সাকিব। ক্রিকেটার পরিচয় তো রয়েছেই, সাকিব কখনো পণ্যের শুভেচ্ছাদূত। কখনোবা তিনি রাজনীতিবিদ। কখনো আবার শুধু ঘরের মানুষদের কাছে সাধারণ এক মানুষ।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে তিনি বোলিংয়ে নিয়েছেন ৪৭ রানে নেন ১ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ৪৯ বলে করেন ৩৪ রান। সাকিবের এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল। জন্মদিনে জয়ের দিনেই সাকিব যান একটি মোবাইল কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার এই অনুষ্ঠানে যেতেই সাংবাদিকদের ক্যামেরার লেন্স যে ঘিরে ধরে তাকে। ক্যারিয়ারে যার এত এত অর্জন, বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের আর তেমন কিছু পাওয়ার আছে কিনা এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়। হাসিমুখে সাকিব উত্তর দিয়েছেন, ‘আল্লাহ সব দিয়েছে। কিছু বাকি নাই। সব আছে আলহামদুলিল্লাহ।’
সাকিব জানেন, সমালোচনার জবাব কীভাবে মাঠের পারফরম্যান্সে দিতে হয়। ২০২৪ বিপিএলের শুরুতেও চোখের সমস্যার কারণে রংপুর রাইডার্স তার থেকে পুরো অলরাউন্ড পারফরম্যান্স পাচ্ছিল না। খেলতে থাকেন শুধু বোলার হিসেবে। এরপর ধীরে ধীরে ব্যাটিংয়ে তার ছন্দ খুঁজে পান। পুরোদস্তুর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়েও ভালোমতো ছিলেন তিনি। যদিও দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এর আগে ২০১৯ সালে ব্যাটিং-বোলিংয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে নজর কাড়েন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের ৬ নভেম্বর। দিল্লিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হয়েছেন ম্যাচসেরা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ঐতিহাসিক সেই ‘টাইমড আউট’ করেন সাকিব। লংকানদের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি ফিরতে যাচ্ছেন।