ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেসে-খেলে বাংলাদেশকে উড়িয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • ৩৩ বার

স্বর্ণা আক্তারকে সোজসুজি খেলেন অ্যালিস পেরি। বল ধরতে গিয়েও মিস করেন বোলিং প্রান্তে থাকা স্বর্ণা। সিঙ্গেল নিয়ে জয়সূচুক রান নেন পেরি। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু নেই কোনো বাড়তি উচ্ছ্বাস।

ডাগআউট থাকা অজি ক্রিকেটারদের মধ্যেও ছিল না কোনো বাড়তি উত্তেজানা, একদম নির্লিপ্ত, যেন কিছুই হয়নি। উচ্ছ্বাস থাকবেই বা কেন, দাপুটে খেলে একপেশেভাবে আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত সিরিজটি নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা।

রোববার (২৪ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলায় ৯৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে ১৫৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচেও দলটি জিতে ১১৮ রানের বড় ব্যবধানে।

পেরি সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন গার্ডনার। দুজনে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৩৫ বলে ৩৮ রান করে দলকে জেতান। এ ছাড়া অ্যালিসা হ্যালি ১৫ ও ম্যাকগ্রাথ ১০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সুলতানা খাতুন ও রাবেয়া খাতুন।

এর আগে বাংলাদেশ অলআউট হয় এক’শর আগেই। শেষ দুই জুটিতে ৩৬ রান বাংলাদেশকে আরও কম রানে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা করে। শেষ দিকে নবম জুটিতে সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ১৬ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নাহিদা আক্তার। ৫ রানে সুলতানার বিদায়ে এই জুটিও বেশি লম্বা হয়নি। শেষ জুটিতে নাহিদার সঙ্গী হন মারুফা, দুজনে ২০ রানের জুটি গড়েন। নাহিদার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২২ রান। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মারুফা।

শুরুতে ভুরি-ভুরি বল হজম করলেও দুই অঙ্কের ঘর পেরুতে পারেননি প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে কেউই। সর্বোচ্চ ৫২ বল খেলেন ৭ রান করা ফারজানা। ২০ বলে ৩ রান করেন সোবহানা মোস্তারি। ২৪ বলে ৫ রান আসে মুরশিদা খাতুনের ব্যাট থেকে। আর ৫ বলে ১ রান করেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।

এরপর ফাহিমা খাতুন-রিতু মণির ২৫ রানের জুটি গড়েন। ১০ রানে রিতু আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ফাহিমাও রিতুর পথ ধরেন ১ রান বেশি করে। এবার ক্রিজে এসে দ্রুত ফেরেন স্বর্ণা আক্তার (৩) ও রাবেয়া খান (২)। ৬১ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন নাহিদা আক্তার-সুলতানা খাতুন। দুজনের জুটির এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন নাহিদা-মারুফা। না হয় বাংলাদেশকে থামতে হতো আরও আগেই।

মিরপুরের উইকেট অজি স্পিনারদের যেন কোনো জবাব ছিল না জ্যোতিদের। পেসার মেগান নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। বাকি উইকেট ঢুকেছে স্পিনারদের পকেটে। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন আজই একাদশে আসা সফি মলিনেক্স ও গার্ডনার। ২ উইকেট নেন জর্জিয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হেসে-খেলে বাংলাদেশকে উড়িয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

স্বর্ণা আক্তারকে সোজসুজি খেলেন অ্যালিস পেরি। বল ধরতে গিয়েও মিস করেন বোলিং প্রান্তে থাকা স্বর্ণা। সিঙ্গেল নিয়ে জয়সূচুক রান নেন পেরি। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু নেই কোনো বাড়তি উচ্ছ্বাস।

ডাগআউট থাকা অজি ক্রিকেটারদের মধ্যেও ছিল না কোনো বাড়তি উত্তেজানা, একদম নির্লিপ্ত, যেন কিছুই হয়নি। উচ্ছ্বাস থাকবেই বা কেন, দাপুটে খেলে একপেশেভাবে আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত সিরিজটি নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা।

রোববার (২৪ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলায় ৯৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে ১৫৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচেও দলটি জিতে ১১৮ রানের বড় ব্যবধানে।

পেরি সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন গার্ডনার। দুজনে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৩৫ বলে ৩৮ রান করে দলকে জেতান। এ ছাড়া অ্যালিসা হ্যালি ১৫ ও ম্যাকগ্রাথ ১০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সুলতানা খাতুন ও রাবেয়া খাতুন।

এর আগে বাংলাদেশ অলআউট হয় এক’শর আগেই। শেষ দুই জুটিতে ৩৬ রান বাংলাদেশকে আরও কম রানে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা করে। শেষ দিকে নবম জুটিতে সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ১৬ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নাহিদা আক্তার। ৫ রানে সুলতানার বিদায়ে এই জুটিও বেশি লম্বা হয়নি। শেষ জুটিতে নাহিদার সঙ্গী হন মারুফা, দুজনে ২০ রানের জুটি গড়েন। নাহিদার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২২ রান। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মারুফা।

শুরুতে ভুরি-ভুরি বল হজম করলেও দুই অঙ্কের ঘর পেরুতে পারেননি প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে কেউই। সর্বোচ্চ ৫২ বল খেলেন ৭ রান করা ফারজানা। ২০ বলে ৩ রান করেন সোবহানা মোস্তারি। ২৪ বলে ৫ রান আসে মুরশিদা খাতুনের ব্যাট থেকে। আর ৫ বলে ১ রান করেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।

এরপর ফাহিমা খাতুন-রিতু মণির ২৫ রানের জুটি গড়েন। ১০ রানে রিতু আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ফাহিমাও রিতুর পথ ধরেন ১ রান বেশি করে। এবার ক্রিজে এসে দ্রুত ফেরেন স্বর্ণা আক্তার (৩) ও রাবেয়া খান (২)। ৬১ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন নাহিদা আক্তার-সুলতানা খাতুন। দুজনের জুটির এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন নাহিদা-মারুফা। না হয় বাংলাদেশকে থামতে হতো আরও আগেই।

মিরপুরের উইকেট অজি স্পিনারদের যেন কোনো জবাব ছিল না জ্যোতিদের। পেসার মেগান নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। বাকি উইকেট ঢুকেছে স্পিনারদের পকেটে। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন আজই একাদশে আসা সফি মলিনেক্স ও গার্ডনার। ২ উইকেট নেন জর্জিয়া।