পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নজিরবিহীন বিলম্বের পর ১১ ফেব্রুয়ারি ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।জাতীয় নির্বাচনে ভালো করলেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে হেরে গেছে ইমরান খানের দল পিটিআই। আর এতেই মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সভাপতি শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এতে তিনি ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির। শাহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়েছেন। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট।
সব শেষ সরকার গঠন করা শাহবাজ শরিফ বেশিদিন টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান সরকার চার থেকে পাঁচ মাসের বেশি টিকবে না। এরমধ্য দিয়েই তিনি আদিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে দুর্নীতির মামলায় শুনানির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, সরকার বেশি দিন টিকবে না বলেই পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়নি। খবর দ্য ডন।
ইমরানের দাবি, তার মামলার একটি সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে এবং এই কার্যক্রমকে নিছক আনুষ্ঠানিকতা। তার বিরুদ্ধে মামলা ভিত্তিহীন। রাজকোষের কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ যুক্তরাজ্য থেকে পাঠানো অর্থ সরকারের হাতে ছিল। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগই ছিল না।
তিনি অভিযোগ করেন, মালিক রিয়াজ যুক্তরাজ্যে বাড়ি কেনার জন্য টাকা পাচার করেছেন। আর বিক্রেতা ছিলেন হাসান নওয়াজ শরিফ। তিনি এই সম্পত্তি ৯০০ কোটি রুপিতে কিনেছিলেন। কিন্তু ১৮০০ কোটি রুপিতে বিক্রি করেছেন। হাসান নওয়াজকে মানি ট্রেইল দিতে বলা উচিত।