রুম্মান আহাম্মেদকে এমন তথ্য জানানোর পর আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অপেক্ষা করেন।
চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী সবুজ রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ট্রেন আসতে নাকি আরো দুই ঘণ্টা লাগবে! এখন দুই ঘণ্টায়ও আসবে কি না, কে জানে! তাদের কথার কোনো ঠিক নেই। একেক সময় একেক কথা বলে।’
গতকাল দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে স্টেশনে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ছয়টি ট্রেনের নামের তালিকা দেখা যাচ্ছিল। ট্রেনগুলো ১২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ৪০ মিনিটের মধ্যে কমলাপুর ছাড়ার কথা। কিন্তু তখনো পাঁচটি ট্রেন প্ল্যাটফরমে আসেইনি। পাঁচ ট্রেনের ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময়ও এতে উল্লেখ ছিল না।
ডিসপ্লের সামনে তখন সময়ের হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত অনেকে। তাদেরই একজন রুহুল আমীন। যাবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহী কমিউটারের অপেক্ষা করছেন তিনি। এই ট্রেন ১২টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সম্ভাব্য সময়ের ঘরে বোর্ডে লেখা বিলম্ব হবে।
রুহুল আমীন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ট্রেন কখন ছাড়বে, তার কোনো ঠিক নেই। আনুমানিক একটা সময়ের ধারণা পেলেও প্রস্তুতি নেওয়া যায়। তাই একটু পর পর ঘুরে এসে বোর্ডে দেখি, ছাড়ার কোনো সময় দিল কি না।’