স্বাস্থ্য খাতে এখন থেকে কথা কম হবে এবং কাজ বেশি হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, কথা কম বলে, কাজ বেশি করতে চাই। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং তাঁর ইচ্ছাও পূরণ হবে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে জাতীর জনকের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ সকাল ১০টায় প্রোগ্রাম শুরু করে ১১টার মধ্যেই শেষ করতে চেয়েছি। আমি চাই এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় জড়িত মানুষরা আছেন, তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে ফিরে যান। তাই সময়ের মধ্যেই শেষ করবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা না থাকলে আজ আমি থাকতাম না। মন্ত্রী হতে পারতাম না। আপনারা যারা আমার সামনে বসে আছেন, তারা এখানে থাকতে পারতেন না।
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মার্চ মাসে আমরা থাকতাম ইস্কাটনে। তখন দেখা করতে গেলে বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি পরে বাসা থেকে নিচে আসতেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা তাঁকে কাছ থেকে দেখেছি, তারা জানি দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল তাঁর।
তিনি সবসময় চাইতেন এবং সবচেয়ে বেশি যেটি চিন্তা করতেন যা নিয়ে, তা হলো-দেশের আনাচে কানাচে সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কয়েকবারই গিয়েছিলেন। যখন যেতেন, তখনই ডাক্তার-নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময় মতো আসো, সময় মতো সেবা দান করো তাহলে আমি সন্তুষ্ট। তাহলে আমি বুঝবো আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন হওয়া সার্থক হয়েছে।
এ সময় আগত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করি। স্বাস্থ্য সেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই, যাতে সারাবিশ্বের মানুষ বাহবা দেয়, হাততালি দেয়। সারা বিশ্ব যাতে বলে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া, স্বাস্থ্য সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর হচ্ছেন আপনারা, স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় মন্ত্রী জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এ হলেই আমাদের স্বাস্থ্য খাতের সব কনফারেন্স হবে। এখানে না করে কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে আমরা যাবো না। আসুন, সবাই মিলে এ প্রতিষ্ঠানকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাই। এখানেই আমাদের আগামী পাঁচ বছরের যত অনুষ্ঠান আছে, সবই করবো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম প্রমুখ।