ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা বাড়ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • ৩০ বার

গাজায় দুই বছরের কম বয়সের প্রতি তিনটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ছোট্ট এই ভূখণ্ডটিতে দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

শনিবার (১৬ মার্চ) ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টিন রিফিউজি (ইউএনআরডব্লিউএ) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়, ‘গাজায় চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন। এর প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা চলমান হামলায় ইতিমধ্যে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের বর্বর এই আগ্রাসন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে এবং প্রায় সমস্ত বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এছাড়া নির্বিচার এই আক্রমণ গাজায় বিশাল ক্ষুধা ও মানবিক সংকটের সূত্রপাত করেছে।

গাজার হাসপাতালগুলোতে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগে এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ‘ত্রাণ প্রবেশ এবং বিতরণে বাধা দিচ্ছে’।

শনিবার (১৬ মার্চ) ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরাপদ, টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দরকার। সংস্থাটির এই বক্তব্য দুর্ভিক্ষের বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও ইসরায়েলের দাবি, গাজার বেসামরিকদের মধ্যে মানবিক ত্রাণ বিতরণে তারা কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে না। বরং ত্রাণ বিতরণে ধীর গতির জন্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর অক্ষমতা এবং অদক্ষতাকে দায়ী করেছে ইসরায়েল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা বাড়ছে

আপডেট টাইম : ১১:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

গাজায় দুই বছরের কম বয়সের প্রতি তিনটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ছোট্ট এই ভূখণ্ডটিতে দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

শনিবার (১৬ মার্চ) ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টিন রিফিউজি (ইউএনআরডব্লিউএ) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়, ‘গাজায় চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন। এর প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা চলমান হামলায় ইতিমধ্যে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের বর্বর এই আগ্রাসন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে এবং প্রায় সমস্ত বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এছাড়া নির্বিচার এই আক্রমণ গাজায় বিশাল ক্ষুধা ও মানবিক সংকটের সূত্রপাত করেছে।

গাজার হাসপাতালগুলোতে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগে এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ‘ত্রাণ প্রবেশ এবং বিতরণে বাধা দিচ্ছে’।

শনিবার (১৬ মার্চ) ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরাপদ, টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দরকার। সংস্থাটির এই বক্তব্য দুর্ভিক্ষের বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও ইসরায়েলের দাবি, গাজার বেসামরিকদের মধ্যে মানবিক ত্রাণ বিতরণে তারা কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে না। বরং ত্রাণ বিতরণে ধীর গতির জন্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর অক্ষমতা এবং অদক্ষতাকে দায়ী করেছে ইসরায়েল।