ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ বছর লাগলেও মেয়ের লাশ আমি ফিরিয়ে আনতাম’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • ৩১ বার

মৃত্যুর ১১ দিন পরে বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টি খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। একাধিক দাবিদার থাকায় বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ হস্তান্তরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান হয়েছে। বাবা সবুজ শেখের ভাষ্য, যারা ষড়যন্ত্র করে মেয়ের লাশ আটকে রেখেছিল, তাদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। আমাকে ১১ দিন হয়রানি করা হয়েছে। ১১ দিন কেন, ১১ বছর লাগলেও আমার মেয়ের লাশ আমি ফিরিয়ে আনতাম। সব তথ্য-প্রমাণ দিয়েই আইনের মাধ্যমে আমি মেয়ের লাশ ফিরিয়ে এনেছি।

অগ্নিকাণ্ডের ১১ দিন পর সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বৃষ্টির মরদেহ তার বাবা সবুজ শেখের কাছে হস্তান্তর করে। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৮টার দিকে লাশবাহী ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়ার খোকসার বাড়িতে পৌঁছায় বৃষ্টির মরদেহ। এরপর রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে মরদেহের গোসল সম্পন্ন করা হয়। ওইদিন রাত ১০টায় তার নামাজে জানাজা শেষে খোকসা উপজেলার বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

মা বিউটি বেগমের বিলাপ ‘নিজের সন্তান নিজের কাছে নিয়ে আসছি শান্তি তো লাগবেই’।

উল্লেখ্য, ঘটনার পরদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তার বাবা সবুজ শেখ। কিন্তু রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেছিলেন মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সে নিয়মিত মন্দিরে যাতায়াত করতো। উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপরে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

১১ বছর লাগলেও মেয়ের লাশ আমি ফিরিয়ে আনতাম’

আপডেট টাইম : ১১:২৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

মৃত্যুর ১১ দিন পরে বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টি খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। একাধিক দাবিদার থাকায় বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ হস্তান্তরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান হয়েছে। বাবা সবুজ শেখের ভাষ্য, যারা ষড়যন্ত্র করে মেয়ের লাশ আটকে রেখেছিল, তাদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। আমাকে ১১ দিন হয়রানি করা হয়েছে। ১১ দিন কেন, ১১ বছর লাগলেও আমার মেয়ের লাশ আমি ফিরিয়ে আনতাম। সব তথ্য-প্রমাণ দিয়েই আইনের মাধ্যমে আমি মেয়ের লাশ ফিরিয়ে এনেছি।

অগ্নিকাণ্ডের ১১ দিন পর সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বৃষ্টির মরদেহ তার বাবা সবুজ শেখের কাছে হস্তান্তর করে। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৮টার দিকে লাশবাহী ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়ার খোকসার বাড়িতে পৌঁছায় বৃষ্টির মরদেহ। এরপর রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে মরদেহের গোসল সম্পন্ন করা হয়। ওইদিন রাত ১০টায় তার নামাজে জানাজা শেষে খোকসা উপজেলার বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

মা বিউটি বেগমের বিলাপ ‘নিজের সন্তান নিজের কাছে নিয়ে আসছি শান্তি তো লাগবেই’।

উল্লেখ্য, ঘটনার পরদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তার বাবা সবুজ শেখ। কিন্তু রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেছিলেন মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সে নিয়মিত মন্দিরে যাতায়াত করতো। উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপরে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।