২০২২ সালে ইউক্রেনে পরমাণু হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপের কারণে সেই পরিকল্পনায় জল ঢালেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-র একটি রিপোর্ট ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া পরমাণু হামলা করার পথে হাঁটলেও তা শেষমেশ হতে পারেনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য। তার হস্তক্ষেপে ইউক্রেনে সম্ভাব্য পরমাণু হামলা থেকে রাশিয়াকে রোখা গিয়েছিল। অবশ্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে এ যাবৎকালে বহুবারই পরমাণু হামলার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে এসেছেন পুতিন।
সিএনএএন-র রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর পরমাণু হামলার ছক কষেছিল। তা জানতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র নিজের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। অন্যান্য বহু দেশের সঙ্গে ভারতও সচেষ্ট হয়ে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার তৎকালীন সম্ভাব্য পরমাণু হামলা রুখে দেয়। পুতিনের সঙ্গে মোদির আলোচনা সম্ভাব্য পরমাণু হামলা রুখতে বড় ভূমিকা পালন করে।
মার্কিন প্রশাসনের দুজন সিনিয়র কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ট্যাকটিক্যাল পরমাণু হামলা চালাতে পারে রাশিয়া, এমনটা আঁচ করেছিল বাইডেন সরকার। বিষয়টি নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল।
রাশিয়ান ইউনিটগুলো ঘেরাও হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল, যা পারমাণবিক হামলার বিপদকে বাড়িয়ে তুলেছিল। সেই সময় ইউক্রেনের ‘ডার্টি বম্ব’ কে নিয়ে ভুয়ো তত্ত্বকে সাজিয়ে রেখে রাশিয়া ওই হামলা চালানোর পক্ষে ছিল বলে দাবি করছে সিএনএন-র রিপোর্ট।
মার্কিন সিনিয়ার অফিসাররা বলছেন, চীনের রাষ্ট্রনেতা শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সচেষ্ট পদক্ষেপ এবং জনসাধারণের বিবৃতি একটি সংকট এড়াতে সাহায্য করেছে।
তারা আরও বলেছেন, ‘আমাদের মনে হয় ভারত ও চীনের প্রভাব ছিল। বাকিরাও প্রভাব বিস্তার করে। যা তাদের (রাশিয়ার) চিন্তাভাবনায় প্রভাব ফেলেছিল। ’ সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।