ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেউ নিচ্ছে না ৯ জঙ্গির লাশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০১৬
  • ৩৬১ বার

রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিং খ্যাত তাজ মঞ্জিলে পরিচালিত অপারেশন স্টর্ম-২৬-এ নিহত ৯ জঙ্গির লাশ এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে।

শনিবার ঘটনার চতুর্থ দিন চললেও এখন পর্যন্ত লাশ নিতে কেউ আসেনি বলে পুলিশ ও ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকেই লাশগুলো ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ইতোমধ্যে আটজনের পরিচয় মিলেছে। একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কিন্তু শনিবার সকাল পর্যন্ত ৯ জঙ্গির মৃতদেহ নিতে তাদের কোনো স্বজন যোগাযোগ করেননি।

এরই মধ্যে এ ঘটনায় ১০ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে (সিটি)। সিটির একাধিক টিম আস্তানা থেকে পলাতক জঙ্গি ইকবালসহ অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, সিটি ইউনিট মামলাটির আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।

নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত হলেও তাদের লাশ কেউ নিতে আসেনি জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, লাশগুলো হস্তান্তরের আগে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতের পর তাজ মঞ্জিলে পুলিশ ও র‌্যাবের প্রাথমিক অভিযান শুরু হয়। পরে সোয়াট বাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’ নামে মূল অভিযান চলে ভোর ৫টা ৫১ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা।

অভিযানের পর মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির মধ্যে রাকিবুল হাসান নামে এক জঙ্গি আহত হয়। ওইদিন বিকেলে অভিযানে নিহত ৯ জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের পরিচয় জানতে চায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এর একদিন পর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সাত জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। পরদিন আরেক জঙ্গির পরিচয়ও পাওয়া যায়। তবে এক জঙ্গির পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরিচয় নিশ্চিত হওয়া জঙ্গিরা হলো বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাজ্জাদ রউফ ওরফে অর্ক ওরফে মরক্কো (মার্কিন নাগরিক) (২৪), নোয়াখালীর সুধারামের জোবায়ের হোসেন (২০), সাতক্ষীরার তালার মতিয়ার রহমান (২৪), ধানমণ্ডির তাজ-উল-হক রাশিক (জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক) (২৫), গুলশানের আকিফুজ্জামান (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খানের নাতি) (২৪), পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আবু হাকিম নাইম (৩৩), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আবদুল্লাহ (২৩) রংপুরের পীরগাছার রায়াহান কবির (২২)।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কেউ নিচ্ছে না ৯ জঙ্গির লাশ

আপডেট টাইম : ১২:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০১৬

রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিং খ্যাত তাজ মঞ্জিলে পরিচালিত অপারেশন স্টর্ম-২৬-এ নিহত ৯ জঙ্গির লাশ এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে।

শনিবার ঘটনার চতুর্থ দিন চললেও এখন পর্যন্ত লাশ নিতে কেউ আসেনি বলে পুলিশ ও ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকেই লাশগুলো ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ইতোমধ্যে আটজনের পরিচয় মিলেছে। একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কিন্তু শনিবার সকাল পর্যন্ত ৯ জঙ্গির মৃতদেহ নিতে তাদের কোনো স্বজন যোগাযোগ করেননি।

এরই মধ্যে এ ঘটনায় ১০ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে (সিটি)। সিটির একাধিক টিম আস্তানা থেকে পলাতক জঙ্গি ইকবালসহ অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, সিটি ইউনিট মামলাটির আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।

নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত হলেও তাদের লাশ কেউ নিতে আসেনি জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, লাশগুলো হস্তান্তরের আগে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতের পর তাজ মঞ্জিলে পুলিশ ও র‌্যাবের প্রাথমিক অভিযান শুরু হয়। পরে সোয়াট বাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’ নামে মূল অভিযান চলে ভোর ৫টা ৫১ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা।

অভিযানের পর মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির মধ্যে রাকিবুল হাসান নামে এক জঙ্গি আহত হয়। ওইদিন বিকেলে অভিযানে নিহত ৯ জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের পরিচয় জানতে চায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এর একদিন পর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সাত জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। পরদিন আরেক জঙ্গির পরিচয়ও পাওয়া যায়। তবে এক জঙ্গির পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরিচয় নিশ্চিত হওয়া জঙ্গিরা হলো বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাজ্জাদ রউফ ওরফে অর্ক ওরফে মরক্কো (মার্কিন নাগরিক) (২৪), নোয়াখালীর সুধারামের জোবায়ের হোসেন (২০), সাতক্ষীরার তালার মতিয়ার রহমান (২৪), ধানমণ্ডির তাজ-উল-হক রাশিক (জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক) (২৫), গুলশানের আকিফুজ্জামান (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খানের নাতি) (২৪), পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আবু হাকিম নাইম (৩৩), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আবদুল্লাহ (২৩) রংপুরের পীরগাছার রায়াহান কবির (২২)।