খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকা লিটারে বিক্রি হবে রোববার থেকে। আর খোলা সয়াবিন ১৪৯ টাকায় বিক্রি হবে।
এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান অন্ট্রাপ্রেনারস বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে শনিবার তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেলের মনিটরিং শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকেও সব মিলগেটে টিমগুলো মনিটরিংয়ে আছে। ট্যারিফ কমানোর পরে কত মাল তারা আমদানি করেছে এবং তাদের বাফারস্টোক তৈরির জন্য যে সময় দেওয়া হয় তা কতটা কাজে লাগিয়েছে সে বিষয়ে এরই মধ্যে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের পেঁয়াজ ছাড় করণের আশ্বাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি সেখানে বসেই পেঁয়াজ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা গতকাল সে চিঠি পেয়েছি। দেশটি থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এ সপ্তাহের মধ্যে আসা শুরু হবে।
রমজানে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবে এমনটি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের টার্গেট রমজানে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে না হয়। তেলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর চিঠি দিয়েছি যার প্রভাব রমজানে পড়বে। খেজুর প্রায় ১০ প্রকার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের একমাস সময় দিয়েছি দাম কমানোর। বস্তায় আসা জায়েদি খেজুর আগামীকাল দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আশা করছি, এরপর দাম কমে আসবে অর্থাৎ এ সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ খুচরা ও পাইকারী মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, এতে দাম কমে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসন করে দেব কিন্তু কোনো অজুহাত শুনবো না। যৌক্তিক কারণ ছাড়া রমজানে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেরিতে ছাড়ের সুযোগ নেই। আমাদের টার্গেট শুধু রমজান নয়, রমজান মাসের পরও নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোনো ব্যবসায়ী বা গোষ্ঠীর হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি থাকবে না। টিসিবির এক কোটি মানুষ তেল-চিনিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্য ভর্তুকি মূল্যে পাবেন।