ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিলখানা ট্র্যাজেডি: চাপা কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪০:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩৪ বার

আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহের (পিলখানা ট্র্যাজেডি) ১৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

এদিকে দেশের ইতিহাসে ভয়ংকর এ হত্যাকাণ্ডে প্রিয়জন হারানো মানুষগুলো দেড় দশক বুকে চাপা কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা বলছেন, খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে পিলখানায় শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিচার শেষ করে সাজা কার্যকর করা হোক। সরকার খুঁজে বের করুক হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যের ইন্ধনদাতা কারা ছিল।

সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল ৯টায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক এবং শহিদদের পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় পিলখানায় দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি পালন উপলক্ষে বিজিবির যেসব স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয়, সেসব স্থানে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ হয়। পিলখানায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মোট ৭৪ জন। ওই ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলার রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। আটজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের রায়ের পর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০৬ আসামি পৃথকভাবে ৫৩টি আপিল ও লিভ টু আপিল করেন।

অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া এবং সাজা কমানো ৮৩ আসামির বিষয়ে ২০টি লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আর ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা ট্র্যাজেডি: চাপা কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা

আপডেট টাইম : ১০:৪০:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহের (পিলখানা ট্র্যাজেডি) ১৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

এদিকে দেশের ইতিহাসে ভয়ংকর এ হত্যাকাণ্ডে প্রিয়জন হারানো মানুষগুলো দেড় দশক বুকে চাপা কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা বলছেন, খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে পিলখানায় শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিচার শেষ করে সাজা কার্যকর করা হোক। সরকার খুঁজে বের করুক হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যের ইন্ধনদাতা কারা ছিল।

সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল ৯টায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক এবং শহিদদের পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় পিলখানায় দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি পালন উপলক্ষে বিজিবির যেসব স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয়, সেসব স্থানে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ হয়। পিলখানায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মোট ৭৪ জন। ওই ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলার রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। আটজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের রায়ের পর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০৬ আসামি পৃথকভাবে ৫৩টি আপিল ও লিভ টু আপিল করেন।

অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া এবং সাজা কমানো ৮৩ আসামির বিষয়ে ২০টি লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আর ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।