ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাইসেন্স ছাড়া চলছে বেশিরভাগ হাসপাতাল-ক্লিনিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১১৮ বার

ফ্রি স্টাইলে চলছে দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনেক প্রতিষ্ঠানের নেই অনুমোদন। যাদের আছে মেয়াদ শেষে তারাও নবায়ন করেন না। মানা হয় না শর্ত। আর এসব খবর সংগ্রহ করতে গেলে উল্টো সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় মালিক পক্ষ। দিনের পর দিন অনিয়ম চললেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে।

লাইসেন্সবিহীন হিসেবে কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছে রাজধানীর শনির আখড়ার লাইফ হাসপাতাল। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে এর ডায়গনস্টিক সেন্টার। লাইসেন্স এর খবর জানতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

লাইসেন্স থাকলেও ছয় বছর ধরে নবায়ন না করার অভিযোগ ডেমরার মেডিহোপ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে প্রতিবেদককে আটকে রেখে হুমকি দিতে থাকে মালিক পক্ষ।

যাত্রাবাড়ীর ইউনিক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদও ফুরিয়েছে ৬ বছর আগে।

মাতুয়াইলের আনোয়ার মেডিকেল। সাইনবোর্ড ছাড়া ফ্ল্যাট বাসায় চলে অস্ত্রোপচার। নেই অভিজ্ঞ নার্স। মালিকের কাছ থেকেই নার্সের কাজ শিখেছেন বলে জানান কর্মরতরা।

লাইসেন্স নিয়ে অভিযোগ আছে মোহাম্মদপুরের পিপলস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক পরিচয় শুনেই চটে যান প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার।

লাইসেন্স এর আবেদন না করেই পরীক্ষা-নিরিক্ষা শুরু করে দিয়েছে কালশীর এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এ এইচ এস ডায়ালাইসিসি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সামনে রাখা হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স ও জনপ্রতিনিধির ছবি।

বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালের অরাজক অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার ঘাটতি আর সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, যত প্যাথলজি আছে, হাসপাতাল আছে সব অটোমেশিন। অনুমোদন ছাড়া কিছুতেই শুরু করা যাবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দ্রুত তাদের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর কেউ যদি অসাধুভাবে কোনো ক্লিনিক হাসপাতাল খুলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। তবে জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না, জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এর একটা উন্নতি হতে পারে।

স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের দাবি সবার।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

লাইসেন্স ছাড়া চলছে বেশিরভাগ হাসপাতাল-ক্লিনিক

আপডেট টাইম : ১১:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফ্রি স্টাইলে চলছে দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনেক প্রতিষ্ঠানের নেই অনুমোদন। যাদের আছে মেয়াদ শেষে তারাও নবায়ন করেন না। মানা হয় না শর্ত। আর এসব খবর সংগ্রহ করতে গেলে উল্টো সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় মালিক পক্ষ। দিনের পর দিন অনিয়ম চললেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে।

লাইসেন্সবিহীন হিসেবে কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছে রাজধানীর শনির আখড়ার লাইফ হাসপাতাল। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে এর ডায়গনস্টিক সেন্টার। লাইসেন্স এর খবর জানতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

লাইসেন্স থাকলেও ছয় বছর ধরে নবায়ন না করার অভিযোগ ডেমরার মেডিহোপ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে প্রতিবেদককে আটকে রেখে হুমকি দিতে থাকে মালিক পক্ষ।

যাত্রাবাড়ীর ইউনিক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদও ফুরিয়েছে ৬ বছর আগে।

মাতুয়াইলের আনোয়ার মেডিকেল। সাইনবোর্ড ছাড়া ফ্ল্যাট বাসায় চলে অস্ত্রোপচার। নেই অভিজ্ঞ নার্স। মালিকের কাছ থেকেই নার্সের কাজ শিখেছেন বলে জানান কর্মরতরা।

লাইসেন্স নিয়ে অভিযোগ আছে মোহাম্মদপুরের পিপলস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক পরিচয় শুনেই চটে যান প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার।

লাইসেন্স এর আবেদন না করেই পরীক্ষা-নিরিক্ষা শুরু করে দিয়েছে কালশীর এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এ এইচ এস ডায়ালাইসিসি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সামনে রাখা হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স ও জনপ্রতিনিধির ছবি।

বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালের অরাজক অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার ঘাটতি আর সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, যত প্যাথলজি আছে, হাসপাতাল আছে সব অটোমেশিন। অনুমোদন ছাড়া কিছুতেই শুরু করা যাবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দ্রুত তাদের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর কেউ যদি অসাধুভাবে কোনো ক্লিনিক হাসপাতাল খুলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। তবে জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না, জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এর একটা উন্নতি হতে পারে।

স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের দাবি সবার।