ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বোলারদের বীরত্বে কুমিল্লার জয়রথ থামাল সিলেট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৫৯ বার
সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৭৭ রানের লক্ষ্যই এনে দিয়েছিলেন ব্যাটাররা। তবে লিটন দাস-আন্দ্রে রাসেল-মঈন আলী সমৃদ্ধ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে এটা অনতিক্রম্য ছিল না। সিলেটের বোলারদের তাই বিশেষ কিছুই করতে হতো। শফিকুল ইসলাম-সামিত প্যাটেলরা সেটাই করেছেন।

তাতে ১২ রানের দারুণ এক হয় পেয়েছে সিলেট। টানা পাঁচ জয়ের পর অবশেষে সিলেট থামিয়েছে কুমিল্লার জয়রথ। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাও ভালো ছিল না কুমিল্লার। সামিত প্যাটেলের বলে মাত্র ৩ রান করে আউট হয়ে যান ইমরুল কায়েস।

সিলেট ডানা মেলতে দেয়নি ফর্মের তুঙ্গে থাকা তাওহিদ হৃদয়কে। তানজিম হাসান সাকিবের বলে ১৭ রান করে ফেরেন তাওহিদ।এক প্রান্তে লিটন দাস ছিলেন নিজের চেনা রূপে। তাঁকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিলেও হাত খুলতে পারেননি জনসন চালর্স।

২১ বলে ১২ রান করা চালর্সকে ফেরান বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম। মঈন আলি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। ইনিংসের শেষ ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ২৫ রান। প্রথম বলে লিটন ৮৫ রান করে আউট হন। এরপর আর সমীকরণ মেলাতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল।
পেসার শফিকুল ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান এক উইকেট নিয়েছেন। সামিতও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন।আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। সিলেটের ইনিংসের দুই ভাগ। ১১ ওভার পর্যন্ত ও এরপর। ১১ ওভার পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৭৪ রান। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা কেনার লুইসের সঙ্গে জাকির হাসানের ওপেনিং জুটি যোগ করে ৪০ রান। ১৮ রান করে সুনিল নারিনের বলে আউট হন জাকির।

এরপর পেসার মুশফিক হাসানের শিকার লুইস। ২৫ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করেছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। লুইসের আউটের পর অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হন ব্যর্থতার মধ্যে ঘুরফাক খাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী রাব্বি। নাজমুল ১২ ও ইয়াসির দুই রান করেছেন। দুজনকেই ফিরিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

তবে মোহাম্মদ মিঠুন ও বেনি হাওয়েল ছিলেন অন্য ভাবনায়। উইকেটে এসেই দুজন রানের গতি বাড়িয়েছেন। মিঠুন ও হাওয়েলের পঞ্চম উইকেট জুটি থেকে আসে ৭৮ রান। মিঠুনকে ২৮ রানে ফেরান নারিন। হাওয়েল অবশ্য অপরাজিত থেকে যান। এই ইংলিশ ব্যাটারের ৬২ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৬ চার ও ৪ ছক্কায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে ২২ হাজার নতুন নিয়োগের ঘোষণা আসছে

বোলারদের বীরত্বে কুমিল্লার জয়রথ থামাল সিলেট

আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৭৭ রানের লক্ষ্যই এনে দিয়েছিলেন ব্যাটাররা। তবে লিটন দাস-আন্দ্রে রাসেল-মঈন আলী সমৃদ্ধ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে এটা অনতিক্রম্য ছিল না। সিলেটের বোলারদের তাই বিশেষ কিছুই করতে হতো। শফিকুল ইসলাম-সামিত প্যাটেলরা সেটাই করেছেন।

তাতে ১২ রানের দারুণ এক হয় পেয়েছে সিলেট। টানা পাঁচ জয়ের পর অবশেষে সিলেট থামিয়েছে কুমিল্লার জয়রথ। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাও ভালো ছিল না কুমিল্লার। সামিত প্যাটেলের বলে মাত্র ৩ রান করে আউট হয়ে যান ইমরুল কায়েস।

সিলেট ডানা মেলতে দেয়নি ফর্মের তুঙ্গে থাকা তাওহিদ হৃদয়কে। তানজিম হাসান সাকিবের বলে ১৭ রান করে ফেরেন তাওহিদ।এক প্রান্তে লিটন দাস ছিলেন নিজের চেনা রূপে। তাঁকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিলেও হাত খুলতে পারেননি জনসন চালর্স।

২১ বলে ১২ রান করা চালর্সকে ফেরান বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম। মঈন আলি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। ইনিংসের শেষ ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ২৫ রান। প্রথম বলে লিটন ৮৫ রান করে আউট হন। এরপর আর সমীকরণ মেলাতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল।
পেসার শফিকুল ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান এক উইকেট নিয়েছেন। সামিতও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন।আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। সিলেটের ইনিংসের দুই ভাগ। ১১ ওভার পর্যন্ত ও এরপর। ১১ ওভার পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৭৪ রান। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা কেনার লুইসের সঙ্গে জাকির হাসানের ওপেনিং জুটি যোগ করে ৪০ রান। ১৮ রান করে সুনিল নারিনের বলে আউট হন জাকির।

এরপর পেসার মুশফিক হাসানের শিকার লুইস। ২৫ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করেছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। লুইসের আউটের পর অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হন ব্যর্থতার মধ্যে ঘুরফাক খাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী রাব্বি। নাজমুল ১২ ও ইয়াসির দুই রান করেছেন। দুজনকেই ফিরিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

তবে মোহাম্মদ মিঠুন ও বেনি হাওয়েল ছিলেন অন্য ভাবনায়। উইকেটে এসেই দুজন রানের গতি বাড়িয়েছেন। মিঠুন ও হাওয়েলের পঞ্চম উইকেট জুটি থেকে আসে ৭৮ রান। মিঠুনকে ২৮ রানে ফেরান নারিন। হাওয়েল অবশ্য অপরাজিত থেকে যান। এই ইংলিশ ব্যাটারের ৬২ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৬ চার ও ৪ ছক্কায়।