ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে মুস্তাফিজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩৯ বার

মাথায় বল লাগার পর আপাতত শঙ্কামুক্ত মুস্তাফিজুর রহমান। সতর্কতা হিসেবে আগামী ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁহাতি পেসার। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রোববার অনুশীলনের সময় মুস্তাফিজের মাথায় বলের আঘাত লাগে। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যান করানো হয়। সেখানে বিপজ্জনক কিছু ধরা পড়েনি। তবে আঘাতটি মাথায় হওয়ায় হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে মুস্তাফিজকে, বিবৃতিতে জানিয়েছেন কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজির ফিজিও এসএম জাহিদুল ইসলাম সজল। “মুস্তাফিজুর রহমান এখন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের নিউরোসার্জন টিমের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন। তার জিসিআই স্কেল ১৫/১৫৷ তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। আশা করি, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা তাকে টিম হোটেলে নিয়ে যেতে পারব।” জিসিআই স্কেল ১৫ থাকার অর্থ পুরোপুরি সজাগ ও সজ্ঞানে আছেন মুস্তাফিজ। দলের পক্ষ থেকে ওই বিবৃতি দেওয়ার আগে হাসপাতালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাহিদুল ইসলামও বলেন, মাথায় সেলাই লাগলেও বড় কোনো শঙ্কা নেই মুস্তাফিজকে ঘিরে। “প্রাথমিকভাবে জেনেছি মুস্তাফিজের মাথায় পাঁচটি সেলাই করা হয়েছে। নিউরোসার্জন তাকে দেখেছেন। আপাতত কোনো শঙ্কা নেই। তিনি নিজের নাম বলতে পারছেন, সব বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারছেন। কনকাশনেরও কোনো লক্ষণ নেই।” ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের পরামর্শক ডা. মঈনউদ্দিন এম. ইলিয়াছ জানিয়েছেন, মূলত সতর্কতা হিসেবেই হাসপাতালে রাখা হয়েছে মুস্তাফিজকে। “মুস্তাফিজুর রহমানের সিটি স্ক্যানে আমরা ভয়ের কোনো কারণ পাইনি। কিছুটা হেমাটমা (রক্তজমাট) আছে। সেটা মস্তিষ্ক ও হাড়ের বাইরে। অভ্যন্তরীণ কোন হেমাটমা নেই। তবে ২৪ ঘন্টা পেরোনোর আগে কাউকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।” অনুশীলন চলাকালে নেটে লিটন কুমার দাসকে বোলিং করছিলেন মুস্তাফিজ। একটি ডেলিভারির পর নিজের বোলিং মার্কে ফেরার সময় কারও ডাক শুনে ঘুরে তাকান তিনি। তখনই একটি বল এসে আঘাত করে তার মাথার বাম পাশে পেছন দিকে। সঙ্গে সঙ্গে মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মুস্তাফিজ। ছুটে আসেন কুমিল্লার প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ বাকিরা। মাঠে কিছুক্ষণ প্রাথমিক শুশ্রুষা দেওয়া হয় তাকে। এ সময় মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয় মুস্তাফিজকে। বিপিএলে কুমিল্লার পরবর্তী ম্যাচ সোমবার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলা শুরু দুপুর দেড়টায়। এই ম্যাচে মুস্তাফিজের না খেলা নিশ্চিতই বলা যায়। চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের শিকার দলের সর্বোচ্চ ১১ উইকেট। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩২ রানে ৩ উইকেট তার এবারের সেরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে মুস্তাফিজ

আপডেট টাইম : ১০:৪৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মাথায় বল লাগার পর আপাতত শঙ্কামুক্ত মুস্তাফিজুর রহমান। সতর্কতা হিসেবে আগামী ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁহাতি পেসার। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রোববার অনুশীলনের সময় মুস্তাফিজের মাথায় বলের আঘাত লাগে। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যান করানো হয়। সেখানে বিপজ্জনক কিছু ধরা পড়েনি। তবে আঘাতটি মাথায় হওয়ায় হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে মুস্তাফিজকে, বিবৃতিতে জানিয়েছেন কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজির ফিজিও এসএম জাহিদুল ইসলাম সজল। “মুস্তাফিজুর রহমান এখন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের নিউরোসার্জন টিমের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন। তার জিসিআই স্কেল ১৫/১৫৷ তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। আশা করি, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা তাকে টিম হোটেলে নিয়ে যেতে পারব।” জিসিআই স্কেল ১৫ থাকার অর্থ পুরোপুরি সজাগ ও সজ্ঞানে আছেন মুস্তাফিজ। দলের পক্ষ থেকে ওই বিবৃতি দেওয়ার আগে হাসপাতালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাহিদুল ইসলামও বলেন, মাথায় সেলাই লাগলেও বড় কোনো শঙ্কা নেই মুস্তাফিজকে ঘিরে। “প্রাথমিকভাবে জেনেছি মুস্তাফিজের মাথায় পাঁচটি সেলাই করা হয়েছে। নিউরোসার্জন তাকে দেখেছেন। আপাতত কোনো শঙ্কা নেই। তিনি নিজের নাম বলতে পারছেন, সব বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারছেন। কনকাশনেরও কোনো লক্ষণ নেই।” ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের পরামর্শক ডা. মঈনউদ্দিন এম. ইলিয়াছ জানিয়েছেন, মূলত সতর্কতা হিসেবেই হাসপাতালে রাখা হয়েছে মুস্তাফিজকে। “মুস্তাফিজুর রহমানের সিটি স্ক্যানে আমরা ভয়ের কোনো কারণ পাইনি। কিছুটা হেমাটমা (রক্তজমাট) আছে। সেটা মস্তিষ্ক ও হাড়ের বাইরে। অভ্যন্তরীণ কোন হেমাটমা নেই। তবে ২৪ ঘন্টা পেরোনোর আগে কাউকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।” অনুশীলন চলাকালে নেটে লিটন কুমার দাসকে বোলিং করছিলেন মুস্তাফিজ। একটি ডেলিভারির পর নিজের বোলিং মার্কে ফেরার সময় কারও ডাক শুনে ঘুরে তাকান তিনি। তখনই একটি বল এসে আঘাত করে তার মাথার বাম পাশে পেছন দিকে। সঙ্গে সঙ্গে মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মুস্তাফিজ। ছুটে আসেন কুমিল্লার প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ বাকিরা। মাঠে কিছুক্ষণ প্রাথমিক শুশ্রুষা দেওয়া হয় তাকে। এ সময় মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয় মুস্তাফিজকে। বিপিএলে কুমিল্লার পরবর্তী ম্যাচ সোমবার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলা শুরু দুপুর দেড়টায়। এই ম্যাচে মুস্তাফিজের না খেলা নিশ্চিতই বলা যায়। চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের শিকার দলের সর্বোচ্চ ১১ উইকেট। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩২ রানে ৩ উইকেট তার এবারের সেরা।