এবারের বিপিএলে শুরুর ৪টি ম্যাচের সবকয়টিতে জিতে রীতিমতো উড়ছিল খুলনা টাইগার্স। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে ঘটে ছন্দপতন। হারানো সেই ছন্দ পরের ৫ ম্যাচে খুঁজে পায়নি এনামুল হক বিজয়ের দল। অবশেষে দশম ম্যাচে এসে হারের বৃত্তে থাকা দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে এল কাঙ্খিত সেই জয়।
অন্যদিকে একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলছে ঢাকা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের দল। এর পর থেকে যে হার শুরু, সেটি এখনো চলমান। আজ খুলনার বিপক্ষে ম্যাচসহ টানা ১০ ম্যাচে হারল আগেই নকআউট পর্বের দৌড়ে বাদ পড়া ঢাকা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৮ রান করে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেট ও ২৮ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে খুলনা। এই জয়ে নকআউট পর্বের দৌড়েও টিকে রইল তারা।
১২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা খুলনা আজ ব্যাটিংয়ের শুরুতে শঙ্কাই জাগিয়েছিল। শরিফুল ইসলামের তোপে দলীয় ১৭ রানের মধ্যেই বিদায় নেন বিজয় ও এভিন লুইস। তবে এরপর তিনটি ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে সহজ জয় পায় খুলনা। পারভেজ হোসাইন ইমন ৪০ ও শাই হোপ ৩২ রান করে আউট হলেও ২১ বলে ৪৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসাইন।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংই বেছে নিয়েছিলেন কয়েক ম্যাচ বাইরে থাকার পর দলে ঢোকা ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। তবে রানবন্যার এমন পিচেও শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে তারা। ২৭ রান তুলতেই একে একে ফিরে যান মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাইফ হাসান ও অ্যাডাম রসিংটন। তিনটি উইকেটই শিকার করেন পেসার ওয়েইন পারনেল।
চতুর্থ উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ইরফান শুক্কুর ও অ্যালেক্স রস। তাদের ৩৫ রানের জুটি ভাঙে দলীয় ৬২ রানে ইরফান (২৫) ফিরলে। পরের বলে ফেরেন শন উইলিয়ামসও। ১২তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে এই দুই উইকেটই নেন পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ফেরেন রস (২৫)।
এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৩০ রানের ছোট্ট একটি জুটি। ইনিংস শেষ হওয়ার ৩বল আগে ২৬ রান করে মুগ্ধর বলে ফেরেন মোসাদ্দেক। ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন চতুরঙ্গ। তাতে দলের রান গিয়ে ঠেকে ১২৮-এ।