নতুন স্বামীর বন্ধুর সাথে পরকীয়ায় ঘর ভাঙছে তিন্নির

অভিনেতা আদনান হিল্লোলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশ কিছুদিন মিডিয়ার আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী তিন্নি। হতাশা গ্রস্থ হয়ে সে সময় নাকি মাদকও গ্রহণ করছিলেন তিনি। পরে হঠাৎ করেই আলোর পথে ফেরেন। বিয়ে করেন আদনান হুদা সাদকে। শোনা যাচ্ছে, তিন্নির এই বিয়েও নাকি ভাঙতে চলেছে। স্বামী সাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দীর্ঘ তিন মাস ধরেই স্বামী-সংসার ছেড়ে আলাদা বাস করছেন এই অভিনেত্রী।

এ সম্পর্কে তিন্নির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। একইসঙ্গে তিন্নির স্বামী সাদের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।

তবে সাদ ও তিন্নির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, সাদ ও তিন্নির সংসার ভাঙা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সূত্রটি আরও জানায়, সাদ সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও তিন্নির উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। অবশ্য সাদের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টগুলো থেকেও সেটাই অনুমান করা যায়। এমনকি সাদের ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলোকে বিশ্লেষণ করলে তিন্নি সম্পর্কে ভয়ঙ্কর অর্থ দাঁড়ায়। এক কথায় বললে- তিন্নি ফের বেপরোয়া।

বর্তমানে তিন্নি ও সাদ দু’জন আলাদা থাকছেন। কিছুদিন আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিন্নির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন স্বামী সাদ। ইচ্ছেমতো বাড়ির বাইরে রাত কাটানো, কন্যা আরশীর খোঁজ খবর না রাখা- এসব অভিযোগ তো ছিলোই। সাদের এক বন্ধুর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক, নেশা করা- তিন্নির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগও ছিলো সাদের ওই স্ট্যাটাসে।

তবে সাদের এই কথার সত্যতা কতটুকু তা শুধু জানা সম্ভব তিন্নির সঙ্গে কথা বলেই। কিন্তু তিন্নির ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে আদনান হুদা সাদকে গোপনে বিয়ে করেন তিন্নি। সাদের সংসারে আরশী নামে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিন্নি। এর আগে তিন্নি বিয়ে করেন অভিনেতা আদনান হিল্লোলকে। বিয়ের কয়েক বছর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। সেই সংসারেও এক কন্যার জননী ছিলেন তিন্নি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর