ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬ মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬
  • ৩৩৩ বার

আগামী ৬ মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমাবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, এর জন্য আইন সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা হবে। চলতি অধিবেশনেই এ আইন সংশোধন করা না হলেও আগামী অধিবেশনে করা হবে।

বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ডিসি সম্মেলন ২০১৬’-এর দ্বিতীয়দিনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আইনের পরিবর্তন না করলে অর্ডিন্যান্স জারি করে জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু সরকার এ মুহূর্তে কোনো অর্ডিন্যান্স জারি করতে চায় না।

খন্দকার

মোশাররফ হোসেন বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশের ১৬ কোটি মানুষ জড়িত। মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা দেখে। এটার ব্যাপ্তি অনেক। এক ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু বলা যায় না।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি এসেছে। আগে গ্রামের মানুষ রাস্তা, কালভার্ট চাইতো। এখন তারা এগুলো চায় না। তারা খাম্বা চায়। খাম্বা বোঝেন? বিদ্যুতের খাম্বা। তারা মনে করেন খাম্বা দিলেই তার ঝুলবে। তার ঝুললেই বিদ্যুৎ আসবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আগে ইউনিয়ন পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, একজন সচিব, কয়েকজন সদস্য ও কয়েকজন চৌকিদার থাকতো। এখন গ্রামের লোকজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী চায়। গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসার ফলে এখন এ দাবি করেন তারা। কিন্তু সরকার এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত হতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ভিজিটে যেতে হবে। মনিটরিং করতে হবে। এলাকায় যেন কোনো জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে গুম হলে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাতো। কিন্তু সরকার যে গুম করে না এরই মধ্যে তা প্রমাণিত। কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের গুম করে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাতো।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি হওয়ার কথা। কিন্তু অনেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি-জামায়াতের নেতারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

৬ মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন

আপডেট টাইম : ০৮:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬

আগামী ৬ মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমাবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, এর জন্য আইন সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা হবে। চলতি অধিবেশনেই এ আইন সংশোধন করা না হলেও আগামী অধিবেশনে করা হবে।

বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ডিসি সম্মেলন ২০১৬’-এর দ্বিতীয়দিনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আইনের পরিবর্তন না করলে অর্ডিন্যান্স জারি করে জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু সরকার এ মুহূর্তে কোনো অর্ডিন্যান্স জারি করতে চায় না।

খন্দকার

মোশাররফ হোসেন বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশের ১৬ কোটি মানুষ জড়িত। মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা দেখে। এটার ব্যাপ্তি অনেক। এক ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু বলা যায় না।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি এসেছে। আগে গ্রামের মানুষ রাস্তা, কালভার্ট চাইতো। এখন তারা এগুলো চায় না। তারা খাম্বা চায়। খাম্বা বোঝেন? বিদ্যুতের খাম্বা। তারা মনে করেন খাম্বা দিলেই তার ঝুলবে। তার ঝুললেই বিদ্যুৎ আসবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আগে ইউনিয়ন পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, একজন সচিব, কয়েকজন সদস্য ও কয়েকজন চৌকিদার থাকতো। এখন গ্রামের লোকজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী চায়। গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসার ফলে এখন এ দাবি করেন তারা। কিন্তু সরকার এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত হতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ভিজিটে যেতে হবে। মনিটরিং করতে হবে। এলাকায় যেন কোনো জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে গুম হলে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাতো। কিন্তু সরকার যে গুম করে না এরই মধ্যে তা প্রমাণিত। কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের গুম করে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাতো।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি হওয়ার কথা। কিন্তু অনেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি-জামায়াতের নেতারা।