সিঙ্গেল ব্যবহার্য প্লাস্টিক তৈরি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবশে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৭১ বিধিতে সরকারি দলের সদস্য ফেরদৌস আহমেদের আনা মনোযোগ আকর্ষণীয় নোটিশের জবাবে তিনি জাতীয় সংসদে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টির আহ্বান জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ‘সংসদে প্রথমে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করার মাধ্যমে সারা দেশে একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ সৃষ্টি হবে, ভালো দৃষ্টান্ত হবে। যারা এই অবৈধ পণ্যগুলো তৈরি করবে, তাদেরকে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে সংযুক্ত করতে চাই।
সে তালিকা বা রুলস আমরা তৈরি করছি। একই সাথে সিঙ্গেল ইউজ প্লাসিক থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় করছে।’তিনি আরো বলেন, ‘সারা দেশে প্রতিদিন ৩০ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। ঢাকায় প্রতিদিন তৈরি করছি প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন।
যার ১০ শতাংশ এই প্লাস্টিক বর্জ্য। আমরা আগামী দুই বছরে ৯০ শতাংশ প্লাস্টিক ব্যবহার হ্রাস করার পরিকল্পনা করেছি। আমরা সিঙ্গেল ব্যবহার্য প্লাস্টিকের তালিকা করব। এটার উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই আমরা।
সংসদ সদস্য ফেরদৌসি আহমেদ অপর এক প্রশ্নে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা শহরে যেকোনো স্থানে প্লাস্টিক বর্জ্য যত্রতত্র পোড়ানোর কারণে টক্সিন, ডায়াক্সিন, সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাস তৈরি হয়, যা মারণব্যাধি ক্যান্সারের কারণ। আমি শঙ্কিত-প্লাস্টিক বর্জ্য হাজারীবাগের খাল, আমার এলাকার বিভিন্ন স্কুলের মাঠে রাখা হয় ও পুড়িয়ে ফেলা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের প্লাস্টিক পোড়ানোর অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। কিছুদিন আগে আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। ঢাকা সিটি করপোরেশনের খুব পাশের একটি জায়গায় সেটা পোড়ানো হয়।
তা সচিবালয় থেকে আমরা লক্ষ করেছিলাম। অথচ এসব বর্জ্য পোড়ানোর বিরুদ্ধে অনেকগুলো আইন আছে। কিন্তু আমরা তা সঠিকভাবে কার্যকর করতে পারছি না। এটা আমাদের দেখা দরকার।’তিনি আরো বলেন, ‘বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে ঢাকা পৃথিবীর দুই বা তিনটি দেশের শীর্ষে থাকে। সেটার কারণ হচ্ছে পলিথিনের দূষণ ও পোড়ানো।’ এ সময় তিনি সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার, পোড়ানো, সর্বোপরি বায়ুদূষণের হাত থেকে নিজ শহরকে রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের মনোযোগ আকর্ষণ বিষয়ক নোটিশের জবাবে পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকি হাওরে গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। শুধু গাছ লাগানোর প্রগ্রাম নয়, দেশে যেসব হাওর এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব জলাভূমি আছে, সেটাকে চিহ্নিত করতে একটা ডিজিটাল ম্যাপিং করার চেষ্টা করছি। এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল ম্যাপিংয়ের মাধমে এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে রক্ষা করা হবে।’